Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

বাগডাঙ্গার শহিদ আলী হত্যার ১৫ বছর পর মামলা

এখন সময়: সোমবার, ১৯ মে , ২০২৫, ০১:৪৮:৩৯ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শার্শার বাগডাঙ্গা গ্রামের শহিদ আলীকে হত্যার ১৫ বছর পর যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের ঘটনায় থানায় কোন মামলা আছে কিনা প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন শার্শা থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মাধবেন্দ্র অধিকারী।

আসামিরা হলো, শার্শার বাগডাঙ্গা গ্রামের শামসুদ্দিন মোড়লের ছেলে মতিয়ার রহমান, আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল গফুর, আরজুল্লাহর ছেলে আব্দুস সাত্তার, মৃত উসমান মোড়লের দুই ছেলে জামাল উদ্দিন ও সালাউদ্দিন, নুজুর আলীর দুই ছেলে মাহাবুর রহমান ও নাজিম এবং মৃত লাল চান লালুর ছেলে রওশন আলী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শহিদ আলী বিএনপির কর্মী ছিলেন। আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রাজনৈতিকভাবে শহিদ আলীর সাথে আসামিদের শত্রুতা ছিল। ২০০৯ সালের ৩ মে শহিদ আলীর একটি ছাগল আসামি মাহাবুরের ক্ষেতের ফসল খায়। এর জের ধরে আসামিরা এ দিন বিকেলে শহিদ আলীর বাড়িতে হামলা করে। আসামিরা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় শহিদ আলী বিছালী গাদার ভিতর পালালে তাকে ধরে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এর মধ্যে চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। আসামিদের ভয়ে গুরুতর আহত শহিদ আলীকে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়নি। দুইদিন পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সকলের অগোচরে বাগআঁড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শহিদ আলীকে বাড়ি নিয়ে গেলে আস্তে আস্তে শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ওই বছরের  ৯ সেপ্টেম্বর শহিদ আলীকে যশোর শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি বাড়িতে মারা যায়। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে আসামিদের হুমকির কারনে মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)