Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒আবু সাঈদ হত্যা মামলা

ডিআইজি বাতেনসহ ১৪ আসামির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৫, ১০:৩৪:২৫ এম


 স্পন্দন ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে এই আবেদন করেন। পরে আদালতে শুনানি শেষে বুধবার এই আদেশ দিয়েছেন রংপুর মহানগর আমলি আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান।
বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন-রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মন্ডল, কর্মকর্তা রাফিউর হাসান, এসআই বিভূতিভূষণ, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর ও বাবুল হোসেন।
আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত। সবকিছু মিলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রমাণ করে এটি হত্যাকাণ্ড। ফলে এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড়া পাবে না। প্যানেল আইনজীবীরা আরও বলেন, এজাহার নামীয় বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হননি। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকায় অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। এছাড়া আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্য এএসআই আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আসামিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা তদন্তেরই একটি অংশ। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে মামলার অন্যান্য নথিপত্র ও আলামত সংগ্রহ করছি। সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজন হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)