কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার ওবায়দুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে (একটি বাড়ি একটি খামার) অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এক বছর আগে মোড়লগঞ্জ ব্র্যাঞ্চ থেকে বদলি হয়ে কেশবপুরে যোগদান করেন ওই কর্মকর্তা। এসেই তিনি লবিং গ্রুপিং শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে তিনি ব্রাঞ্চে কর্মরত কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। যোগদানের পর থেকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নিয়ম ও নীতি মানছেন না। সময়মত অফিসে এসে হাজিরা দিলেও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। ঋণ দেয়ার সময় পাস বই ও ফরমের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারি বরাদ্দ থাকলেও তিনি স্টাফদের বেতন থেকে টাকা নেন।
গত ১৮ আগস্ট পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিনুর রহমানের দুর্নীতি আড়াল করতে ঢাকার রাজপথে আন্দোলন করার লক্ষ্যে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজারদের অবহিত করা হয়। তখন কেশবপুর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার ওবায়দুল ইসলাম পলাশের মনোনীত একটি গ্রুপকে নিয়ে তিনি ঢাকায় যান। সেদিন অফিসে পাঁচজন কর্মচারীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে হাজিরা বইতে লালকালি দেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে উপস্থিত দেখিয়ে তাদের সাথে ‘লাঞ্চ’ করেন এবং বেতনের টাকা বৈধ করে দেন।
এ বিষয়ে ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার ওবাইদুল ইসলাম বলেন, তিনি ঢাকায় যাননি। ছুটি নিয়ে পরিবারের সাথে ছিলেন। অফিসের স্টাফরা ঢাকায় গিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে প্রথমে বলেন, আমি সেটা জানি না। পরবর্তীতে বলেছেন, সারা দেশ থেকে অনেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেই কারণে হয়তো তারা যেতে পারে।
ঢাকায় আন্দোলন কর্মসূচিতে যাওয়া পাঁচ কর্মচারী অনিমা রানী রেজওয়ান, গৌরচন্দ্র পাল, দেবব্রত পাল ও শাহিনা খাতুন সাংবাদিকদের এক ভিডিও বার্তায় জানান, স্যার আমাদের সাথে না গেলেও ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কাছে ঢাকায় আন্দোলন করতে ম্যানেজারসহ যে কর্মচারীরা গিয়েছিলেন তাদের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, হেড অফিসের মৌখিক নির্দেশ ছিল। তিনি কোনো আদেশ দেননি ।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক খুলনা বিভাগের এসপিও মনজুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় যাওয়ার কোনো অনুমতি আমি দেইনি।
এ বিষয়ে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) খাঁন ইকবাল হাসান বলেন, ১৮ আগস্ট সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিনুর রহমানকে বাঁচানোর জন্য কেউ আন্দোলনে গিয়েছিল কি না সেটি তদন্তে টিম গঠন হয়েছে। আন্দোলনে যোগ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়।