নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা আন্দোলনের নামে জাতীয় পতাকা অবমাননা, সুপ্রীম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রপতিকে আল্টিমেটাম দেয়ার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। মঙ্গলবার শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করেন। পাশাপাশি তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। কর্মসূচি চলাকালে ‘মুক্তিযোদ্ধা জনতা গড়ে তোলো একতা’, ‘সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা বিরোধীরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘তুমি কে, আমি কে, বাঙালি বাঙালি’-এসব দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় এ সময়। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর উপপ্রধান রবিউল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, ডেপুটি কমান্ডার প্রকৌশলী আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল ও শহিদ পরিবারের সন্তান শেখ আতিকুর বাবু। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, যশোর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, আমিরুল ইসলাম রন্টু প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শহিদ কর্নেল জামিল স্মৃতি সংসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রক্তের বিনিময়ে আমরা একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কোটা রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের চক্রান্ত সফল হবে না। তারা আরও বলেন, আমাদের বয়স বেড়েছে। কিন্তু আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো দুর্বল নই। প্রয়োজনে আবারও আরেকটি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ বিরোধী সব চক্রান্ত বন্ধ করে দেয়া হবে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।