নকিব সিরাজুল হক, বাগেরহাট : বাগেরহাট পৌর শহরের অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে ভরা। পৌরসভার ৭৮ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়কের ৭০ ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ সড়ক সংস্কার করা হয়নি। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের নূর মসজিদ থেকে এলজিইডি মোড়, রাহাতের মোড় থেকে চানমারী ব্রিজ পর্যন্ত, পুরাতন বাজার থেকে সম্মিলনী স্কুল, নূর মসজিদ থেকে সরকারি মহিলা কলেজ রোড, মুনিগঞ্জ থেকে হাড়িখালী রোড, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় রোডসহ প্রধান প্রধান অধিকাংশ সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী। এ ছাড়া বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা, খারদ্বার, বাসাবাটী, সাহাপাড়া, দশানী, গোবরদিয়া, সোনাতলা ও সরুই এলাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট নাজুক অবস্থায় রয়েছে। শহরের ইজিবাইক চালক ফরিদ বলেন, নূর মসজিদের মোড় থেকে এলজিইডি মোড় পর্যন্ত ইজিবাইক ঝাঁকুনি খেতে খেতে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। এতে যাত্রীরও কষ্ট ও আমাদেরও কষ্ট হয়। গাড়িরও ক্ষতি হয়। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। শহরের অধিকাংশ সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী। মৎস্যঘের ব্যবসায়ী সুমন শেখ বলেন, আমি সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। জরুরি প্রয়োজনে প্রতিদিনই শহরে আসতে হয়। কিন্তু রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয়। শিক্ষক আবু সাঈদ শুনু বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলো দেখারও কেউ নেই। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের সামনে সেলুন মালিক সুনীল শীল বলেন, কিছুদিন আগে এই ভাঙা রাস্তায় ভ্যান উল্টে গিয়ে এক গর্ভবতী নারী আহত হন। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর তালুকদার আব্দুল বাকী বলেন, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পৌরসভার আওতাধীন। কিন্তু দীর্ঘদিন বেহাল সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। মালিক সমিতি একাধিকবার ইট ও বালি দিয়ে ভাঙা স্থান মেরামত করেছে। এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান জানান, দ্রুতই পৌরসভার প্রধান ১১টি সড়কসহ ভাঙাচোরা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।