নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে হানিফ হোসেন আরজু (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়ার চেষ্টাকালে দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে শহরের এইচএমএম রোডে। আরজু সদর উপজেলার ভগবতীতলা গ্রামের কাজী আতিয়ার রহমানের ছেলে। এই ঘটনায় তিনজনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আটক আসামিদ্বয় হলো, চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ের মিলন উকিলের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইলিয়াস হোসেন লাল্টুর ছেলে রাকিব হোসেন (১৯), ঘোপ জেলরোড কামালের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে মাসুম হোসেন (১৯)। আর পলাতক আসামি হলো, খড়কী ধোপাপাড়ার ইয়াছিন শেখের ছেলে নাদিম ওরফে সবুজ ইসলাম (২০)। কলেজ ছাত্র আরজুর মা সেলিনা বেগম কোতয়ালি থানায় দায়েরকরা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে যশোর টেকনিক্যাল কলেজের একদাশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেল ৩টার দিকে শহরের এইচএমএম রোডে পৌঁছালে ওই তিন আসামি চাকু ঠেকিয়ে তার কাছে বলে যা আছে বরে করে দে। সে সময় আরজু দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাকে ছুরিকঘাত করে মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়। আরজু চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালানো চেষ্টা করে। কিন্তু লোকজন রাকিব ও মাসুমকে আটক করে। কিন্তু নাদিম কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে দুইজনের কাছ থেকে একটি চাকু ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। পরে আরজুকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আটক রাকিবের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় আগেই দুটি মামলা এবং মাসুদের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আটক দুইজনকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।