Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒খুলনায় ৭৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছায় বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ গ্রাম

এখন সময়: সোমবার, ২০ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৭:১০:২১ এম

 

 

খুলনা প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে  জোয়ারের পানি ঢুকে অসংখ্য গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের পরে সোমবার বিকেল থেকে বাতাসের গতি আরও বেড়েছে। ফলে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা যায়নি। 

জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে খুলনা মহানগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে লাল চাঁদ মোড়ল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাওঘরা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, নিহত ব্যক্তি এদিন সকালে একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গাছ ভেঙে পড়ে। ওই গাছের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। ঝড়ে আর কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কয়রা উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে দুর্গত মানুষের সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার। ঝড়ে বিধ্বস্ত বাড়ির সংখ্যা তিন হাজার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাছের ঘেরের। অন্তত ১ হাজার ৫শ’ একর মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

দাকোপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়দেব চক্রবর্তী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ২৫ হাজার ৪০৭টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৬ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৭টি স্থানে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে। জরুরিভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল করিম জানান, তার আওতাধীন ৬৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, কয়রাসহ বিভিন্ন উপজেলায় ৩৩ টি পয়েন্টে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)