Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

‘ঘূর্ণিঝড় রিমালে ১০ মৃত্যু, ৩৫  হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত’

এখন সময়: শুক্রবার, ২৮ মার্চ , ২০২৫, ০৫:৩৫:৩০ এম

স্পন্দন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রিমালে এক শিশু ও এক নারীসহ ১০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের ছয় জেলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- খুলনার লাল চাদ মোড়ল (৩৬); সাতক্ষীরার শওকত মোড়ল (৬৫); বরিশালের জালাল সিকদার (৫৫), মোকলেছ (২৮) ও লোকমান হোসেন (৫৮); পটুয়াখালীর শহীদ (২৭); ভোলার জাহাংগীর (৫০), মাইশা (৪) ও মনেজা খাতুন (৫৪) এবং চট্টগ্রামের ছাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৬)।

তাদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

তিনি বলেন, গাছ উপরে পড়ে, জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে, দেয়াল ধসে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে এসব মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ইতোমধ্যে৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।

ঘূর্ণিঝড়ে ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে আছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ¥ীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪।

রিমালে মোট ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এটা আগের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা আছে। মাছের ঘের, গাছপালা নষ্ট হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত জানানো হবে।”

গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেওয়া হয় রিমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।

এর প্রভাবে রোববার বিকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। পরদিন সকাল থেকে সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে দুর্বল হয়ে আসে রেমাল।

ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, উপকূলে মোট ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন আট লাখেরও বেশি মানুষ। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি।

দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে ১৪০০ মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

মহিববুর বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫,৫০০ টন চাল, পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশুদের খাবারের জন্য দেড় কোটি টাকা এবং গোখাদ্যের জন্য দেড় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)