বাঘারপাড়া প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়ায় বসতিজমি দখল নিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ৬ নভেম্বর সকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রশীদ মোল্লার জমিতে এ ঘটনা ঘটে। জমির দখল ঠেকাতে বা ১৪৪ ধারা জারি করাতে আব্দুর রশীদ ৭ নভেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানা ও আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রশীদ পৌরসভার ৩৪৬ নম্বর দাগের ১২ শতাংশ জমি এতিমখানা নির্মাণের শর্তে বিবাদী মৃত ইসারত মোল্লার ছেলে মৃত সাজ্জাদ হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। বিক্রির ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও শর্ত মোতাবেক এতিমখানা নির্মাণ না করে সেখানে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে জবর দখল অভিযানে নেমেছেন সাজ্জাদ হোসেনের ছেলেরা। এ দীর্ঘ সময় সে জমিতে আব্দুর রশীদ মোল্লার পরিবার সেমিপাকা ঘর করে বসবাস করে আসছিলেন। সাজ্জাদ হোসেন মারা যাওয়ার পর তার ছেলেরা এ জবর-দখলে নেমেছেন। এসব অভিযোগে দোহাকুলা গ্রামের মৃত সাইফুল্লার ছেলে মাসুদ রানা (৪০), সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে জাকারিয়া মোস্তফা (৩৩), আখিব আরাফাত (২৬) ও আলী ইব্রাহিমের (২২) নাম উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালত যশোরে মামলা দায়ের করেছেন আব্দুর রশীদ। একইসাথে একটি কপি বাঘারপাড়া থানায় দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদি আব্দুর রশীদ বলেন, যখন প্রতিপক্ষরা জমি দখল করতে আসে তখন ছেলেরা বা আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী লাইলী বেগম ভাঙচুর কাজে বাধা দিতে গেলে বেদম মারপিট করেছে। একপর্যায় তাকে ফেলে দিয়ে সেমিপাকা ঘর ভাঙচুর করে এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। এতে আমার আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বজলুর রহমানের ২টি বসত ঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। মোট কাঁচা পাকা ৬ টি ঘর ভাঙচুর হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। কোর্ট আগামী বছরের মার্চ মাসে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে। এরমধ্যে নালিশি জমিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।