Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে যশোর জেলা পরিষদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা

এখন সময়: রবিবার, ১১ মে , ২০২৫, ০৫:২২:৫১ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা পরিষদের মার্কেটে দোকান বরাদ্দ কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদ মার্কেটে ব্যবসায়ীরা দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করলে জেলা পরিষদ বাধা দেয়। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, নতুন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদের সাথে পুরাতন ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের শঙ্কা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে পুরাতন ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দোকান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে জেলা পরিষদ এখন টাকা চাচ্ছে। অন্যদিকে পুরাতনদের বাদ দিয়ে নতুনদের কাছে দোকান বরাদ্দের চেষ্টা করছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল জানান, অভিযোগ সত্য নয়। ইন্সটিটিউটের দেয়াল নির্মাণকালে উচ্ছেদের সময় কাউকে এমন কোনো আশ^াস দেয়া হয়নি। দোকান দেয়ার কথা বলে টাকা চাওয়ার অভিযোগ সত্য না।   

জানা গেছে, যশোর ইনস্টিটিউটের সাথে সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিস্পত্তির পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জেলা পরিষদ। সেময় দোকান উচ্ছেদ করে সীমানা প্রাচীর দেয়া হয়। তখন উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা প্রাচীর নির্মাণ শেষ হওয়ায় দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে জেলা পরিষদ থেকে বাধা দেয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, উচ্ছেদকালে মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় দেয়াল নির্মাণের পর জেলা পরিষদ  হকার্স মার্কেটে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সোমবার ওই মার্কেটে ১২ জন পুরাতন ব্যবসায়ী দোকান তৈরির কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দোকান নির্মাণে বাধা দেন। জেলা পরিষদের কর্মকর্তা বাধা দিলে জেলা পরিষদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

যশোর ইনস্টিটিউট মার্কেট অংশের সাবেক সভাপতি বাবু বিশ^াস অভিযোগ করে বলেন, ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে যখন আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছিল, তখন আমাদের বলা হয়েছিলো জেলা পরিষদের মার্কেটে আমাদের জায়গা দেয়া হবে। সেই মোতাবেক ১২ জন ব্যবসায়ী দোকান সরিয়ে নিই। সোমবার জেলা পরিষদের মার্কেটে দোকান নির্মাণ করতে আসলে আমাদের বাধা দেয়া হয়েছে। এখন দোকান নির্মাণ করতে না দিয়ে প্রতিটি দোকানের জন্য উল্টো তিন থেকে চার লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য বরাদ্দ জায়গা পুরাতন ব্যবসায়ীদের আগে অগ্রাধিকার না দিয়ে জেলা পরিষদ নতুন ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। টাকার বিনিময়ে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে।

নাজমুল হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করি। এতো টাকা দিয়ে দোকান বরাদ্দ কীভাবে নেবো। জায়গা না দিলে আমরা কীভাবে ব্যবসা করবো। আমাদের জায়গা নতুন ব্যবসায়ীদের কাছে বরাদ্দ দিলে আমরা আন্দোলনে যাব।

এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) একে এম শফিকুল আলম বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে জেলা পরিষদের মার্কেটের কে বা কারা অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেখানে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ছিলেন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)