Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই : এম ইদ্রিস

আসামি পক্ষের আইনজীবী না হয়েও জামিন করানোর অভিযোগ

এখন সময়: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ০৪:৩৭:২৩ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: মামলার আইনজীবী না হয়েও সার্টিফাইড কপি তুলে হাইকোর্ট থেকে এক আসামির জামিন করিয়েছেন পিপি এম ইদ্রিস আলী। গত ২০ আগস্ট তার জুনিয়র এ মামলায় জামিননামা আদালতে জমা দিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনী আইনজীবী সমিতিতে একটি অভিযোগে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির প্রধান অফিস সহকারী নুরুল ইসলাম।

এ মামলায় আসামির পক্ষে আইরিন পারভীন গত ৩১ আগস্ট যশোর আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবী পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন তার পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনী মামলাটি পরিচালনা করছেন। মতের মিল না হওয়ায় ও আস্থাহীনতার কারণে তিনি আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনীকে দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নয়। তার সাথে কোন লেনদেন নেই বলে উল্লেখ করে আইরিন পারভীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর এ আবেদন করেছিলেন।

পিপি এম ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়। এ আসামি জামিন করানোর ব্যাপারে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। জজ কোর্ট থেকে আসামির জামিন না মঞ্জুর করা হলে আসামি পক্ষ যে কোন আইনজীবী দিয়ে উচ্চ আদালত থেকে আসামি জামিন করাতে পারেন।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনীর অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের রেল রোড চার খাম্বার মোড় এলাকায় গত ২৫ এপ্রিল রাতে ফারহানা পারভীন উর্মি নামে এক যুবতী খুন হন। এ ঘটনায় তার ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে আটক করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় নিহতের চাচা রবিউল ইসলাম আটক দুই জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনী আসামি পক্ষ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তাদের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। যশোরের আদালত নিহতের মা আইরিন বেগমকে জামিন দিলেও ভাই ফারদিনের জামিন দেয়নি। এ জন্য উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নেন অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন জনী। কিন্তু এরই মধ্যে অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে মামলার সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করেন। সরকারি কৌশুলি এম ইদ্রিস আলী আইনজীবী সমিতির অনুমতি ছাড়াই একজন আইনজীবীকে দিয়ে আসামি ফারদিনকে গত ২০ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে জামিন করিয়েছেন। এছাড়া তিনি তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট আহাদ আলীকে দিয়ে জামিননামা জমা দিয়েছেন। আসামি পক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনী হওয়া সত্বেও সরকারি কৌশুলির এই কাজটি আইনজীবী সমিতির নিয়মনীতির লঙ্ঘন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)