যশোরে ২০ কেজি সোনা উদ্ধার মামলার চার্জশিট, অভিযুক্ত ৫

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:৪৭:০৯ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে আলাদা তিন সোনা চোরাচালান মামলায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক তৈয়বুর রহমান, শার্শা থানার এসআই মাহফুজ হোসেন ও ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক শেখ ওয়াহিদ্জ্জুামান। এ তিন মামলায় মোট সোনা উদ্ধার দেখানো হয়েছিল ২০ কেজি ৫৪০ গ্রাম।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো, চৌগাছার বড়কাবিলপুর গ্রামের ওহিদুল ইসলামের সৎ ছেলে সাজু আহম্মেদ, ইউনুচ আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, শার্শার মহিষাকুড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে সাজেদুর, আপদিনের ছেলে আক্তারুল এবং বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের ছেলে আব্দুর রজ্জাক সরদার।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৭ জনুয়ারি শার্শার অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা পাঁচভুলোট গ্রামের নয়কোনা বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রাজ্জাকে আটক করে। এ সময় তার স্বীকারোক্তিতে মোটরসাইকেলের চেসিসের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৬৩ পিচ সোনার বার (যার ওজন ৭ কেজি ৩৩৭ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে বিজিবির হাবিলদার নাসিম মোল্যা বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে শার্শ থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি আব্দুর রাজ্জাককে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অপরদিকে, ২০১৯ সালের ২০ মে শার্শা থানা পুলিশ সংবাদ পায় সামটা জামতলা এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে। পরে এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এসআই আবুল হাসান ঘটনাস্থলে যেয়ে জানতে পারেন বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা দুইজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। পরে তারা শার্শা থানায় আটক সাজেদুর ও আক্তারুলকে হাজির করে। আটক দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ পিচ সোনার বার (যার ওজন ৮৫ ভরি)। এ ঘটনায় তৎকালীন এসআই (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) আবুল হাসান বাদী হয়ে শার্শা থানায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ ছাড়া ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর যশোর ৪৯ বিজিবি ঝিকরগাছার ব্যাংদাহ বাঁশতলা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে সাজু আহম্মেদ ও জিয়ারুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০৬ পিচ সোনার বার (যার ওজন ১২ কেজি ৩৫৬ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিজিরি হাবিলাদার নুর আলম মিয়া বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানার চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে সকল আসামিকে আটক দেখানো হয়েছে।