Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ঈদ বাজার

গরমের কারণে সানস্ক্রিন ও ওয়াটার প্রুভ মেকআপ বেশি বিক্রি

এখন সময়: সোমবার, ১২ মে , ২০২৫, ০২:৫৯:১৩ এম

মারুফ কবীর: আসন্ন ঈদের জন্য ইতোমধ্যে পছন্দের পোশাক কেনাকাটার পর্ব শেষ পর্যায়ে। নতুন কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল, চুড়ি এবং সাজগোজের অন্যান্য অনুসঙ্গ কিনতে তরুণীদের উপচেপড়া ভীড় এখন যশোরের কসমেটিকসের দোকানে। যশোরের প্রসাধনীর দোকানে ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন কসমেটিকস ব্যবসায়ীরা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে কেনাকাটা।

যশোরের কসমেটিকসের মার্কেটের মধ্যে ফেন্সি ও ভোলা সাহা মার্কেট অন্যতম। পাশাপাশি তরুণীরা কেনাকাটা করছেন শহরের শপিংমলের প্রসাধনীর দোকানে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতে বসেছে ভ্রাম্যমাণ কসমেটিকসের দোকান। নিম্নবিত্ত লোকজন ফুটপাত থেকে কিনছেন কসমেটিকস সামগ্রী। তবে মান এবং চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় প্রসাধনী এবং কসমেটিকসের দামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গরমের কারণে সানস্ক্রিন ও ওয়াটার প্রুভ মেকআপ সামগ্রী বেশি বিক্রি হচ্ছে। তরুণীরা ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন পছন্দের নেলপলিশ, লিপস্টিক, আইশ্যাডো, আইলাইনার, ব্লাশন, বডি স্প্রে, ফেস পাউডার, প্যানকেক, ফাউন্ডেশন, পারফিউম, প্যানস্টিক এবং সাবান-শ্যাম্পুও। দেশি-বিদেশি যার যেমন সামর্থ্য তেমন পণ্য কিনছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবছর ব্রান্ডের মধ্যে বেশি চলছে মেবলন, জ্যাকলিন, লরিয়াল ,গোল্ডের রোজ , ল্যাকমি, ওলে, জর্ডানা, রেভলন, মারভেলিন, এভোন প্রভৃতি। পাশাপাশি ওয়াটার প্রুভ প্রসাধনী রয়েছে বাজারে।

ফেন্সি মার্কেটের মিথিলা কসমেটিকসের প্রোপ্রাইটর রাসেল আহম্মেদ বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে দুপুরের দিকে ক্রেতা কিছুটা কম হলেও সকাল ও বিকেলের পর ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোজার শেষ সপ্তাহে কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতার চাপ বেশি থাকে।

ভোলা সাহা  মার্কেটের ব্যবসায়ী সুধীর বলেন, ঈদের পোশাক কেনা শেষের দিকে। তাই পোশাকের রংয়ের সাথে মিলিয়ে কসমেটিকস কিনছেন সকলে। এবছর আমাদের মার্কেটের সকল ব্যবসায়ী ভালো ব্যবসা করছেন। রোজা শেষের দিকে এসে বেচাকেনা বেড়েছে বহুগুণে।

মিথিলা নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদকে ঘিরে নিম্নমানের পণ্যও চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এমনকি নকল পন্য এসেছে বাজারে। একারণে অরিজিনাল প্রসাধনী মেলা ভার। তারপরও ঈদ বলে কথা , এজন্য বাজারে প্রসাধনী কিনতে আসা।

প্রসাধনীর মধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ফাউন্ডেশন ৩শ’ থেকে ২ হাজার, প্রাইমার ৩ শ’ থেকে ১৫শ’ , ব্লাশার ৩শ’ থেকে ৮ শ’, হাইলাইটার ২শ ’ থেকে ৫শ’, সানস্ক্রিন ২ শ’ থেকে ৬শ’, আইলাইনার ১০০ থেকে ৩শ’ টাকা, আইশ্যাডো ১৫০ থেকে ৩শ’ টাকা, নেলপলিশ ৪০ থেকে ৩শ’ ৫০ টাকা, লিপিস্টিক ৩০ থেকে ৪শ’ টাকা, কাজল ৫০ থেকে ৩শ’ টাকা, চুলের রঙ ২০০ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা, টিপ ২০ থেকে ১শ’ টাকা, গ্লিটার ৭০ টাকা। তাছাড়া প্রকার ভেদে বডি স্প্রের দাম ২শ’ টাকা থেকে ১ হাজার , ফেস পাউডার ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, পারফিউম এবং বডি স্প্রে মধ্যে এক্স, প্লেবয়, এডিডাস, ফগ, হেবক, রেকসনা, সেট ওয়েট, কুল, ব্লু মেন বিক্রয় হচ্ছে ২শ’ ৫০ থেকে ৭শ’ টাকায় এবং পারফিউম  বিক্রয় হচ্ছে ৩শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়, মেহেদী প্রতিটি টিউব  পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ১শ’ ৫০ টাকায়।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)