ঈদ বাজার

ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি থ্রি-পিসের আধিক্য বাজারে

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:০৯:৩৯ এম

 

মারুফ কবীর: নারীদের ফ্যাশনে বৈচিত্র আর স্টাইলিশ ভাব মানেই থ্রি-পিস। অন্য সব ড্রেস থেকে থ্রি-পিসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যও বোধ করেন তারা। নারীদের থ্রি-পিসের নতুনত্বে এবার যোগ হয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্তানি স্টোনের থ্রি-পিস। এছাড়া প্রতিবারের মতো জনপ্রিয় ভারতীয় সিনেমা ও চরিত্রের নামে নামকরণ করা পোশাক তো রয়েছেই। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েদের পোশাক কেনার আগ্রহের তালিকায় রয়েছে সুতি থ্রি-পিস, সালোয়ার কামিজ, দেশি ও বিদেশি থ্রি-পিস। বিশেষ করে ভারত, কাশ্মির এবং পাকিস্তানি থ্রি-পিসে আগ্রহ বেশি তাদের। এসব পোশাক ২ হাজার থেকে শুরু ১০ হাজার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয় নায়রা এবং পাকিস্তানি থ্রি-পিসের মধ্যে সাদা বাহার, আঘানূর, চিকেন কারি রয়েছে তাদের পছন্দের তালিকায়। এছাড়াও ড্রেস গারারা, সারারা, নায়রা ও ঝিলিকের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার যশোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি, এইচএমএম রোড, মুজিব সড়ক, কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট , পৌর হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানের বিপণিবিতান ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়। পোশাকের রং, আকার, ডিজাইন ও চাহিদা ভেদে দাম দেড় হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বুটিকস ১৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস ১৫শ’ থেকে ১০ হাজার, পাকিস্তানি লোন ১৫শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা, পাকিস্তানি জামদানী ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা, ইন্ডিয়ান কাতান ও জর্জেট ৩ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ সকল পোশাকগুলোর মধ্যে মাঝামাঝি দামের পোশাকগুলোর বিক্রি বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।

মাইরা নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে ইন্ডিয়ান থ্রি-পিসে ছেয়ে গেছে। এসব পোশাকের দাম আকাশ ছোঁয়া। একটা ভারতীয় থ্রি-পিসের দাম নেয়া হচ্ছে ভারতীয় রুপির ২/৪ গুনেরও বেশি। শহরের গোবিন্দ স্টোরের প্রোপাইটর অসিত কুমার সাহা বলেন, মানুষ নিত্যপন্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও যা বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি।

দেখা ফ্যাশানের প্রোপাইটর মান্না দে লিটু বলেন, যেসব কাষ্টমার চাকচিক্য পছন্দ করেন, তারা ইন্ডিয়ান ভারি কাজের থ্রি-পিস বেশি কিনছেন। মর্ডান ক্লথ স্টোরের বিক্রয় কর্র্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, সুতি থ্রি-পিস, সালোয়ার কামিজ, জর্জেট থ্রি-পিস, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি লনের চাহিদাও এবার ব্যাপক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সুতি থ্রি-পিস। এছাড়াও বিক্রি হচ্ছে ড্রেস গারারা, সারারা, নায়রা, ঝিলিক এবং পানচুরের থ্রি-পিস।