ঈদ বাজার

এবার শিশু পোশাকের আকর্ষণ সারারা গারারা ও নাইরা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৮:২১:৪১ এম

 

 

মারুফ কবীর : আর কদিন পরে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। আসন্ন এ উৎসবকে ঘিরে নতুন শিশু পোশাক এনেছেন দোকানীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিশুদের ঘিরেই ঈদের আনন্দ। তাই ঈদ মানেই তো শিশুর খুশি। ঈদকে সামনে রেখে শিশু পোশাকের বিক্রি ২/১ দিন হলো জমে উঠেতে শুরু করেছে। যশোরের এইচ এমএম রোড, কাপুড়িয়াপট্টি, সিটি প্লাজা,জেস টাওয়ার, মুজিব সড়ক ভিআইপি মার্কেটে আলাদা করে ১৫ টি অধিক শিশু পোশাকের দোকান আছে।

এইচ এমএম রোডের শিশু পোশাকের দোকান ডরেমনের প্রোপাইটর নাজমুল ইসলাম রিপন বলেন, ১৫ রোজা পর্যন্ত ব্যাবসা হয়নি। তবে ২/১ দিন হলো শিশু পোশাকের বিক্রি শুরু হয়েছে।

বেবি ফ্যশনের পোপাইটর তারিকুজ্জামান বলেন, বিশেষ করে ঢাকার গাউছিয়া মার্কেট ও কেরানীগঞ্জের পাইকার মার্কেট থেকে যশোরের দোকানীরা পোশাক কেনেন। এ কারণে ঢাকা বঙ্গবাজারে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনার প্রভাব পড়েনি যশোরের শিশু পোশাকের ব্যবসায়। তাছাড়া রমজানের শুরুতে নতুন ডিজাইনের পোশাক বাজারে এসে যায়। যাতে কাস্টমার দেখেশুনে শিশু পোশাক কিনতে পারেন।

উম্মে সালমা নামে একজন ক্রেতা বলেন, আমার ৯ বছরের একটি মেয়ে আছে। ফেসবুকসহ সোসাল মিডিয়ায় ও সারারা-গারারা ড্রেসের নাম দেখেছে। আর ওই পোশাক কিনতেই এসেছি।

আলী হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে পোশাকের দাম চড়া। বিশেষ করে শিশু পোশাকের দাম মাত্রা অতিরিক্ত। তার পরেও ঈদে আমার বাচ্চার জন্য সাধ্যের মধ্যে পোশাক কিনতে এসেছি।

ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, গত বছরের চেয়ে এবার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি দামে সবাইকে পোশাক কিনতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে শিশু পোশাকের।

শিশু পোশাকের দোকান টম এন্ড জেরির বিক্রয় কর্মী মো. আজম বলেন, এবারের ঈদে বিশেষ মনোযোগ পাচ্ছে গরম আবহাওয়ার বিষয়টি। তাই আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্রাধান্য পাচ্ছে সুতি পোশাক। আরামদায়ক পোশাক হিসেবে হাতাসহ ও হাতা কাটা দুই ধরনের পোশাকই এসেছে বাজারে। এছাড়া রয়েছে ওয়েস্টার্ন ডিজাইনের পোশাক। ডিজাইনে রয়েছে রঙের বৈচিত্রময় ব্যবহার।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকান ভেদে শিশু পোশাকের দামের ভিন্নতা আছে। যশোরের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ছেলে বাচ্চাদের জিন্স  ৭শ থেকে ২ হাজার, ,শার্ট ৫শ থেকে ১৪ শ, টি শার্ট ৪শ থেকে ১ হাজার। মেয়ে বাচ্চাদের পোশাকের মধ্যে ফ্রগ ১ থেকে ৬ হাজার, স্কার্ট ১২শ থেকে ৩ হাজার  এবং ভারতীয় পোশাকের দাম ২৫শ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা, মেয়েশিশুদের  সারারা কাট জামা ১৫শ থেকে ৪২শ, গারারা ২ হাজার থেকে ৪ হাজার , নাইরা ২ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, বাহুবলি-টু জামা ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। অন্যান্য ফ্রকের দাম ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা, টুপিস ও থ্রিপিসের দাম ৮শ থেকে ৩ হাজার, লেহেঙ্গা, গাউন ১৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা। ছেলেশিশুদের শার্টের দাম ৪শ থেকে ১২শ টাকা, পাঞ্জাবি ও শেরওয়ানি ৫শ থেকে ৩ হাজার, হাফপ্যান্ট ও ফুলপ্যান্টের দাম ৪শ থেকে ১৫ শ টাকা। মেয়েশিশুদের শাড়ি ৫শ থেকে আড়াই হাজার টাকা।