Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোর ঈদ বাজারে বেচাকেনায় মন্দা

এখন সময়: সোমবার, ১২ মে , ২০২৫, ০১:২৬:৫৬ এম

 

মারুফ কবীর: যশোরের ঈদ বাজারে ক্রেতা বাড়লেও বিক্রি হচ্ছে কম। পোশাকের দাম বেশি  হওয়ায় কেনাকাটায় ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক কম। ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে দাম বেড়েছে প্রচার থাকলেও ব্যবসায়ীরা মানতে নারাজ। ওই ঘটনার আগেই ঈদ বাজারের জন্য তারা ঢাকা থেকে পোশাক এনেছেন।

এদিকে, শহরের গাড়িখানায় পুলিশ প্লাজা ও জেলা পরিষদের মধ্যে মেলা বসানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা। এই দুটি মেলার কারণে বিক্রি কম হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। সরাসরি তারা এর প্রতিবাদ না করতে পারলেও ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার প্রথম সাত দিনে একদমই বিক্রি হয়নি।  শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে ক্রেতা সমাগম কিছুটা বাড়লেও দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন। শিশুদের পোশাকের দোকান ডরেমনের বিক্রয়কর্মী বাবু বলেন,  ১৫ রোজা পার হয়ে গেলেও মানুষের মধ্যে কেনাকাটার ইচ্ছা কম। ক্রেতার উপস্থিতি ভালো কিন্তু বিক্রি বেশ কম।

ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকের দাম বেশি। কারণ.  ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে শিশুদের পোশাকের।

যশোর কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট এসোসিয়েশনের সভাপতি মঈনউদ্দীন টেনি বলেন,  সম্প্রতি  ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনার প্রভাব পড়েনি যশোরের বাজারে। কারণ, রোজার আগে বা প্রথম সপ্তাহে ঢাকার পাইকারি মার্কেট থেকে তারা পোশাক কেনেন। ঈদে বিক্রির জন্য পোশাকের সংগ্রহ অনেক আগেই করা হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছি। পুলিশ প্লাজার মেলা ছাড়াও জেলা পরিষদ চত্বরেও মেলা শুরু হয়েছে। এতে কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির  সম্মুখীন হচ্ছে। জেলা পরিষদের ভেতরের মেলায় সারাদিন মাইক বাজানোয় অতিষ্ট ক্রেতা ও পথচারিরা।

যশোর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি ও যশোর শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন, সুতার দাম বাড়তি হওয়ায় এবছর শাড়ির দাম একটু বেশি। তবে এ বছর ১৫ রোজা পার হয়ে গেলেও শাড়ির বিক্রি মোটেও ভালো না। তিনি আরও বলেন, শাড়ির দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

কাপুড়িয়াপট্টি ও এইচ এমএম রোড তৈরি পোশাক দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক মান্না দে লিটু বলেন, কাপুড়িয়াপট্টি ও এইচ এম এম রোডে ১৫-২০ বছর পোশাকের ব্যবসা করছেন অনেকে। এবছর চরম মন্দা যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে লোকজন। যার প্রভাব পড়েছে ঈদ কেনাকাটায়।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)