Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

রমজানে পণ্যের দামে নাভিশ্বাস

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৩ মে , ২০২৫, ০৬:১২:৫০ পিএম

 

মুর্শিদুল আজিম হিরু : প্রতি বছর রমজান এলেই নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিছু পণ্যের দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে এবার রমজানের বেশ আগেই দাম বেড়েছে অনেক পণ্যের। প্রশাসন যতই কঠোর হোক ব্যবসায়ীরা চলছে তাদের নিজ গতিতে। সরকার তেল চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে না। পণ্যের দামে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার যশোর শহরের বড়বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রমজানের আগে সরকার ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে তেল চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে এ দুইটি পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে চিনির দাম প্রকার ভেদে কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ বাড়িয়ে ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়।

সয়াবিন তেলের দাম ঠিক থাকলেও পাম তেলের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৮৫ টাকা কেজি। ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল। পাম তেল বিক্রি হয় ১৪০ টাকা কেজি।

ইফতার উপকরণের দাম আগের মত আছে। প্রতিকেজি ছোলার বেসন বিক্রি হয় ১০০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের বেসন। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয় ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা। চিড়া প্রকার ভেদে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

বাজারে মুরগি, গরু-ছাগলের মাংস সরবরাহের ঘাটতি নেই। তারপরও মাংসের দাম বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের একেবারে নাগালের বাইরে চলে গেছে।

বড় বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা কিনে বাজারে বিক্রি করেন। বেশি দামে কিনতে হয় বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা। ৩৫০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সোনালী, লেয়ার ও কক মুরগী। প্রতি কেজি দেশি মুরগী বিক্রি হয় ৬০০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭২০ টাকা। ১২০০ টাকা কেজি ছাগলের মাংসের দাম।

বাজারে মাছের সরবরাহ প্রচুর। তারপরও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ বিক্রি হয় ২২০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি মৃগেল মাছ। প্রতি কেজি চিলবার্কাপ মাছ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। ২৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় চাষের শিং মাছ। প্রতি কেজি টাকি মাছ বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা। ১৬০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা।

রমজান আসলেই বেগুন, শশা, টমোটের দাম বাড়ে। এবারও তার ব্যতই ঘটেনি। দুই একদিনের ব্যবধানে এ সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি। ৪০ টাক কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি কেজি শশা বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি। ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সজনে। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি। কুমড়া বিকি হয় ৩০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি মেটে আলু বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে ও ধেড়স।

যশোরের বাজারে অপরিবর্তিত আছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা।  ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রসুন। ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁয়াজ। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় আলু।

বাজারে চালের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকা। ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজললতা চাল বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-৪৯ চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৬৮  টাকা।  ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি । প্রতি কেজি বাংলা মতি চাল বিক্রি হয় ৬৮ টাকা থেকে ৭০ টাকা।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ৪০ টাকা। ১শ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ টাকা থেকে ১শ৩০ টাকা। ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলাইয়ের ডাল।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)