সেইলর যশোরের ম্যানেজারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:১৯:৩৯ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ ক্রেতার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সেইলর যশোরের ম্যানেজারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশে সোমবার কোতয়ালি থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন উপশহরের এ-ব্লকের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাফায়েত হোসেন আদালতে এ মামলা করেছিলেন।

আসামিরা হলো, যশোর শহরের মুজিব সড়কের সেইলর শো-রুমের ম্যানেজার পারভেজ আলম, সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফ আহম্মেদ, ঢাকার চিফ অপারেটিং অফিসার রেজাউল কবীর, বরিশাল উজিরপুরের খাটিয়ালপাড়া গ্রামের মুনসুর খানের ছেলে ইমাম হোসেন, দিনজাপুর উপশহরের ৬/এ এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম, সদরের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের লক্ষীনাথ রায়ের ছেলে রাজেন্দ্র নাথ রায়, খানপুর বোয়ালমারি গ্রামের হাবিবর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান, বেদগাড়ি গ্রামের আজহার আলীর ছেলে সাজির হোসেন, খানপুর মঞ্জুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোস্তফা আলী, নারায়নগঞ্জ সদরের নোয়াপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন অন্তর, পশ্চিম দেওতারা বাংলা বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের আবু সাইদ শাওন, আলম খাঁন লেনের কারীপদ পালের মেয়ে রানু রানী পাল, এলএনসি মিলস এলাকার মান্না বেপারীরর ছেলে আল আমিন,  খুলনা দিঘলিয়ার আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে মতিয়ার রহমান, মাদারীপুর শিবচরের পাঁচ্চর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে গোলাম কিবরিয়া ও পটুয়াখালি বাউফলের মহাসেন উদ্দিন গ্রামের আব্দুর সাত্তার মৃধার ছেলে আনোয়ার হোসেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর দড়াটানার ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ও যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কারবালার রওশন জাহান সুমিসহ ১৮ ক্রেতা শহরের মুজিব সড়কের সেইলর শোরুমের ক্রেতা। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন মুজিব সড়কের সেইলর শোরুম থেকে পোষাক ক্রয় করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত ইবিএল কার্ড  মূল্য পরিশোধ করেন। ৩১ ডিসেম্বর সেইলর কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে ইবিএল কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনটি সঠিক হয়নি ডাক্তার সাফায়েতকে জানান। পরে ইবিএল কর্তৃপক্ষ পরিচয়ে তার কার্ডের গোপন তথ্য নিয়ে ব্যাংক হিসাবে জমানো ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্র। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে বিকাশ কর্তৃপক্ষকে জানালে টাকা সেন্ট হওয়ায় বিকাশ নম্বরগুলো ফ্রিজ করে দেন। একই কায়দায় অপর ক্রেতাদের টাকাও আত্মসাত করেছে ওই প্রতারক চক্র। বিষয়টি সেইলর যশোর শোরুমের কর্মকর্তাদের জানালে তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। অবশেষে ডাক্তার সাফাতে হোসেন গত বৃস্পতিবার ওই ১৬ জনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা করেন।