Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর মারপিটে ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রীর মামলা

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৩ মে , ২০২৫, ০৫:১৮:১৮ পিএম

 

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে দেখা করতে যেয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন নাহিদা নাজনিন (৩৬) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। এঘটনায় এক সন্তানের জননী ব্যাংক কর্মকর্তা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যশোর এমএম কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল হোসেনের মেয়ে বর্তমানে যশোরের বাসিন্দা অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নাহিদা নাজনীনের সাথে ২০১৫ সালে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গণপতি গ্রামের মৃত শেখ আমজাদ হোসেনের ছেলে ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. হোসেনুজ্জামান (৩৮) এর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাফারাত জামান ফাইয়াজ (৫) নামে একটি ছেলে রয়েছে। স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় পিতার বাড়িতে চলে যান নাহিদা নাজনীন। গত ৯ মার্চ ছেলে তার পিতাকে দেখতে চাওয়ায় তাকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গণপতি গ্রামে নিয়ে গেলে স্বামী হোসেনুজ্জামান, তার ভাই শাহানুর সানু (৪২), স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ সুমা আক্তার (২৬) ব্যাংক কর্মকর্তা নাহিদা নাজনীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে হোসেনুজ্জামানের নির্দেশে অন্যান্যরা তাকে এলোপাতাড়ি বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি স্বর্ণের চেইন, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও একটি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নাহিদা নাজনীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এঘটনায় স্বামী হোসেনুজ্জামান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ সুমা আক্তারসহ ৩ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. হোসেনুজ্জামান বলেন, নাহিদা নাজনীন এখন আমার স্ত্রী নয়। আমি তার অমানবিক আচরণ সইতে না পেরে বাধ্য হয়ে তাকে আইন মোতাবেক ডিভোর্স দিয়েছি। এজন্য সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। এরপরও সে গত ৯ মার্চ হঠাৎ আমার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে থাকে। আমরা তাকে বাঁধা দিলে সে বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ছেলেকে নিয়ে চলে যায়। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও  প্রতিকার দাবি করেছেন।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)