সবচেয়ে কম দাম কপির, মাছ মাংস খাবো কীভাবে?

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:১১:২৬ এম

মুর্শিদুল আজিম হিরু : বড় বাজারে ঢুকতেই দুই পাতা কপি মাত্র ১০ টাকা বলে দাম হাঁকছেন বিক্রেতা। ফুল কপির দামও কম। যেখানে পাতা কপির দাম কম সেখানে মাছ মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। ক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে বাজারে পাতা কপি আর ফুল কপির দাম কম। অন্য পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় কিভাবে খাবো ? গরিবের নাগালের বাইরে এসব। রসুনের দাম কিছুটা কমেছে, বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিতি আছে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের দাম। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারে দাম বেড়েছে কাচা মরিচের। শুকনো মৌসুমে আষাঢ়ের চেয়ে দাম বেশি কাচা মরিচের। নতুন রসুনের সরবরাহ বেড়ে যাওয়া দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অপরিবর্তিত আছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় নতুন রসুন। প্রতি কেজি পুরাতন রসুন বিক্রি হয় ১৩০ টাকা কেজি। ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁয়াজ। ১৬ টাকা থেকে ১৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় আলু। গ্রীষ্মকালিন সবজির সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। দামও কমেছে কিছুটা। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি ঝিঙে বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুশি। প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি হয় ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ধেড়স। প্রতি কেজি কচুর লতি বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ডাটা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মেটে আলু। প্রতি কেজি ফুল কপি বিক্রি হয় ২০ টাকা। ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পিচ বিক্রি হয় বাধা কপি। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয় ৩০। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পালংশাক ও মুলা। ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হয় ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। প্রতি কেজি পেঁয়াজের কালি বিক্রি হয় ২০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ব্রুকলি। প্রতি কেজি কলা বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজি। বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া যচ্ছে সয়াবিন তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয় ১শ’৮৭ টাকা। ১শ’৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল। ১শ’৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল। প্রতি কেজি পাম তেল বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা। বাজারে চালের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকা। ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজললতা চাল বিক্রি হয় ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-৪৯ চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৫৮ টাকা থেকে ৬৮ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি । বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩০ টাকা। ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলাইয়ের ডাল। গরিবের মাংস খ্যাত পোল্ট্রি মুরগীর কেজি এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্য মাংসের কথা বাদ দিলাম। কম দামি মাছ ছিলবার কার্পের দামও ২শ’ টাকা কেজি। অন্য মাছে হাত দেয়া যাচ্ছে না।