৮০ হাজার টাকা নিয়ে ৮ লাখ দাবি !

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১১:১৫:৪৩ পিএম

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: মাসিক ৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেয়ার চুক্তিতে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন লতিফুল আলম ওরফে শহিদুল। এ টাকায় তিনি একটি ইজিবাইক কেনেন। ইজিবাইকটি কিনেও দেন ঋণদাতা। ২০১২ সালের এপ্রিলে টাকাটি হাত বিনিময় হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত ৬ বছরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। এখন আরো ৮ লাখ টাকা দাবি করছেন পাওনাদার। টাকার দাবিতে ২০১৮ সালে ঝিনাইদহ আদালতে পৃথক দুইটি মামলাও করেন পাওনাদার আনোয়ার হোসেন মোল্লা। আনোয়ার হোসেন কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ঈশ^রবা গ্রামের জামতলা পাড়ার মৃত ইসমাইল মোল্লা ওরফে খাদেম মোল্লার ছোট ছেলে।

ঋণগ্রহিতা শহিদুল একজন ইজিবাইক মেকার। সে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ফয়লা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় শহিদুল মামলা থেকে মুক্তি রাজনৈতিক ও সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়ে বেড়াচ্ছেন। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও শেষ অবধি আলোর মুখ দেখেনি। মামলার পর ২০২১ সালের শুরুতে সামাজিক বৈঠকের মাধমে ১ লাখ টাকা ঋণদাতার হাতে তুলে দেন শহিদুল। আরো ২০ হাজার টাকা দিলে মামলা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরতর্তিতে মামলা না তুলে আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় মামলা এখনো চলমান। এখন সুষ্ঠু বিচার পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় শহিদুল।

ঋণদাতা আনোয়ার হোসেন জানান, টাকা লেনদেনের বিষয়টি অনেক পুরানো। এখন বিষয়টি নিয়ে আদালত মামলা চলমান রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য অনেকবার অনুরোধ করার পরেও তিনি কথা না বলে চলে যান।

আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মতিয়ার রহমান জানান, দুইজনই আমার কাছের মানুষ। শহিদুল বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে। আমি ঘটনাটি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে সংসদ সদস্য পর্যন্ত গড়িয়েছে কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তবে, আমার ভাই আনোয়ার হোসেন শহিদুলের উপর অন্যায় করছে বলে দাবি করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সুদভিত্তিক অর্থ লেনদেন অবৈধ। সেটা ব্যক্তি অথবা সংগঠন যাই হোক। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ যদি হেনস্থা বা প্রতারণার শিকার হয় তাহলে আবেদন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নিয়ম রয়েছে।