অপ্রচলিত মাছ চাষের মাধ্যমে পুষ্টি ও রপ্তানিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ : জেলা মৎস্য কর্মকর্তা

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪, ০৩:৪৯:৫৫ পিএম

খুলনা প্রতিনিধি: শনিবার সকালে খুলনা জেলার তেরখাদার রাইয়ান এগ্রো ফিশারিজে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও ফোয়াবের যৌথ অর্থায়নে সহযোগিতায় ছিল জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও রাইয়ান এগ্রো ফিশারিজ। বাস্তবায়নে ছিল ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ফোয়াব)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল কবির দিপু, রূপসার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাপ্পী কুমার দাস ও রাইয়ান এগ্রো ফিশারিজের চেয়ারম্যান ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। প্রধান আলোচক ছিলেন তেরখাদার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর কুমার পাল। সভাপতিত্ব করেন ফোয়াবের সভাপতি মৎস্য উন্নয়ন ও সমবায় ব্যক্তিত্ব মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন)। প্রধান অতিথি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল বলেন, অপ্রচলিত মাছ চাষের মাধ্যমে পুষ্টি ও রপ্তানিতে সমৃদ্ধ হবে এ দেশ। দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সংরক্ষণ ও চাষের মাধ্যমে আমরা অর্থ ও পুষ্টি পাই। দেশে মাছের উৎপাদন ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এক সময় বলা হতো ভাতে-মাছে বাঙালি। তারপর একটা সময় বলা হতো মাছের আকাল। বর্তমানে মাছের উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। সরকার এ খাতে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে, উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ৩৭ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। কোন অঞ্চলে মাছের শূন্যতা দেখা দিলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা সে অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে। ফলে দেশের কোথাও আর মাছের আকাল হবে না। এখন গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র পুষ্টি সমৃদ্ধ পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা এগিয়ে আসায় এটা সম্ভব হয়েছে। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার ঘোষ, অধ্যাপক এড. মনি শংকর নাগ, ফোয়াবের সহ-সভাপতি লস্কর মনিরুজ্জামান, ফোয়াবের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাকিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন শাওন, জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ অনরুদ্ধ বাহাদুর, জেলা মৎস্যজীবী লীগের মহিলা নেত্রী বুলু রানী মন্ডল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা মাস্টার শহিদুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, আলাইপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রউফ সিকদার, এস এম মাহিরুল হক, মোশাররফ হোসেন মোল্লা, শান্তিলতা বালা,  সাধন পাত্র, সোহরাব সানা প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রান্তিক চাষিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।