ইবিতে গভীর রাতে বিকট শব্দ, ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০২:৫৫:৫৭ পিএম

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও লালন শাহ আবাসিক হলের পেছনে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে একযোগে দু’হলের পেছনে এ ঘটনা ঘটে বলে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান। তবে তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে সাহায্যের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাননি।

এদিকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক বিচার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ দু’হলের পেছনে একযোগে কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ করা হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন হল থেকে ক্যাম্পাসে বেরিয়ে পড়েন তারা। এ সময় নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক।

পরে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মীদের নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দেন। প্রক্টরের সহযোগিতা না পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এর অন্তত এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সহকারী প্রক্টর ড. শাফিকুল ইসলাম বিষয়টি সম্পর্কে ছাত্রলীগ সভাপতির কাছে খোঁজখবর নেন।

এদিকে তদন্তপূর্বক ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বুধবার ১২টা থেকে অনুষদ ভবনের নিচে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন শ্লোগান দেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শাখা ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে সমাবেশ করেন। এ সময় রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারি ও আন্তর্জাতিক সেমিনার থেকে নেতাকর্মীরা বের হলে ভিসিকে অবরোধ করেন। ওই সময় জড়িতদের বিচার দাবি জানালে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন ভিসি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘আমরা শুধু বিকট শব্দ শুনেছি, এটা পটকাও হতে পারে আবার ককটেলও হতে পারে। কিন্তু এই ঘটনার পরে নিরাপত্তার জন্য প্রক্টর ও ইবি থানার ওসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কেউ সাড়া দেননি। তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? এই কাজ কে করেছে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্তপূর্বক জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা জানতে পারিনি। পরে বিষয়টি জেনে সহকারী প্রক্টর ড. শাফিকুল ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষণে সবাই রুমে চলে যায়। পরে আমরা ইবি থানাকে বিষয়টি জানাই। তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।’

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর জায়েদ বিপ্লব বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শোনার পর তদন্তের জন্য আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’