শতক পার করতে পারেননি ৮ জন : জামানত হারালেন আশাশুনির ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৪৭:৩৯ পিএম

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি : সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে ২৭ জন তাদের জামানাত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৮জনের ভোট প্রাপ্তি ১০০ এর নিচে।
 তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার উপজেলার ১১ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ৫৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করেছিলেন। যার মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ১১ জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক ২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীক ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীক ১ জন ও বাকি ৩৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা, ঘোড়া, আনারস, মোটরসাইকেল, টেবিল ফ্যান, টেলিফোনসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এসকল প্রার্থীদের মধ্যে সর্বমোট ৩৭ জন নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মোট পোলকৃত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের স্ব স্ব জামানত হারিয়েছেন। ফলাফলে বিশ্লেষণে দেখাগেছে, শোভনালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে আব্দুল মজিদ মোল্যা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬২ ভোট, এসএম মনিরুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৯ ভোট এবং লুৎফর রহমান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫৬ ভোট। বুধহাটা ইউনিয়নে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে এমডি ফিরোজ আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০৪ ভোট, আবুল হাসেম চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯৮৩ ভোট, রেজবিদান সরদার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৭ ভোট এবং মোবারক হোসেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২৬ ভোট। কুল্যা ইউনিয়নে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ২ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে মাসুম আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৩ ভোট এবং ইয়াকুব আলী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০৯ ভোট। দরগাহপুর ইউনিয়নে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮৯ ভোট, স ম জাকির হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২১৩ ভোট এবং অজিয়ার রহমান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪২ ভোট। বড়দল ইউনিয়নে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে আব্দুল হান্নান মন্টু সরদার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪৬৪ ভোট, এসএম নাসিরউদ্দীন আরজু সানা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০৯ ভোট, আবু সাইদ ঢালী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৬ ভোট এবং আব্দুল গফুর রজনীগন্ধা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৭ ভোট। আশাশুনি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা ৩ জন প্রার্থীই কাঙ্খিত ভোট পাওয়ায় ঐ ইউনিয়নে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। শ্রীউলা ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র রফিকুজ্জামান ছট্টু চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ১৩৯১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। খাজরা ইউনিয়নে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে ফজলুর রহমান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ ভোট, রবিউল ইসলাম রবি চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩২৫ ভোট, বোরহান উদ্দিন মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০ ভোট, ফজলুল হক মশাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ ভোট ও নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল রজনীগন্ধা ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫১ ভোট। আনুলিয়া ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র জাবেদুল মাওলা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৫০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। প্রতাপনগর ইউনিয়নে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে নুরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ ভোট, শেখ রিয়াদ মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৩ ভোট ও হারুন-উর-রশিদ টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৪২ ভোট। কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র অমৃত কুমার সানা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৮৬৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। প্রাপ্ততথ্যে দেখাগেছে, জামানত হারানো ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন ১০০ ভোটও পাননি।