নিজস্ব প্রতিবেদক : কুরআনে হাফেজ নুরুজ্জামানের জীবন বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাবেক পত্রিকা বিক্রেতা পিতা আজগর আলী। তিনি বর্তমানে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে যে ছেলে পবিত্র কুরআনের সুমধুর সুরে বিমোহিত করে সকলকে সেই মুখশ্রী তার ক্রমেই মলিন হচ্ছে মৃত্যুর আশঙ্কায়। যেন জ্বলে উঠতেই নিভে যাচ্ছে তার জীবন প্রদীপ।
যশোর শহর লাগুয়া নওয়াপাড়া ইউনিয়নের তরফনওয়াপাড়া গ্রামের আজগর আলী একসময়ে পত্রিকা হকার কাজ করতেন। ঘরের খবর, পরের খবর, সুখ, দুঃখ ভালবাসার খবর সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার সেই মহৎ পেশাতেই স্ত্রী আর তিন সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিলো জীবন সংসার। হঠাৎ করেই তার স্বপ্ন এখন ফিকে।
ছেলে নুরুজ্জামান রক্তশূন্যতাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। যশোর একটি বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসাধীন সে। চিকিৎসক ক্যান্সারের আশঙ্কা করছে। দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সবকিছুর পরে আর্থিক সংকটের কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ভ্যান চালক আজগর আলী আর কোরআনের হাফেজ নুরুজ্জামানসহ গোটা পরিবার।
আগামী বছর দাখিল পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার নুরুজ্জামানের। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সেই স্বপ্ন আজ ফিকে হতে চলেছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুলা ছাতিয়ানতলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করা এই ‘কুরআনের পাখি’ এখন লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ নুরুজ্জামানকে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. মো. মাওলা আলী শেখ ও ডা. মো. মারুফ আল হাসান পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানিয়েছেন এক দুঃসংবাদ, নুরুজ্জামান রক্তশূন্যতা ও মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে দ্রুত ঢাকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
নুরুজ্জামানকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অন্তত ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু একজন ভ্যানচালক বাবার পক্ষে এই বিপুল অংকের টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। একদিকে ছেলের চিকিৎসার আকাশচুম্বী খরচ, অন্যদিকে ঢাকা যাতায়াতের ন্যূনতম সম্বলটুকুও নেই এই দরিদ্র পরিবারের। ছেলের শিহরে বসে অসহায় বাবা আজগর আলী ও তার মা। এখন কেবল অঝোরে চোখের জল ফেলছেন। তার প্রশ্ন, “টাকার অভাবে কি আমার ছেলেটা বিনা চিকিৎসায় চলে যাবে?”
সমাজে কত বিত্তবান, কত হৃদয়বান মানুষ আছেন। সবার একটুখানি সহমর্মিতা আর সামান্য সাহায্য পারে একজন হাফেজকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে। একটি জীবন বাঁচানো মানে একটি পরিবারকে বাঁচানো।
সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আবেদন আসুন, আমরা যে যার সাধ্যমতো এই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াই। আমাদের সামান্য দানে হয়তো আবারও নুরুজ্জামানের কণ্ঠে ধ্বণিত হবে পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত।
সাহায্য পাঠাতে পারেন নিচের ঠিকানায়:
মোবাইল নং-০১৯২৫৫৪৮৪২১ (বিকাশ)।
সঞ্চয়ী হিসাব নং-০১৪৫১৮১০০০০০৭৪১।
স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, যশোর ব্র্যাঞ্চ, যশোর।