Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒‘বিয়ের ১৭ বছর পর যমজ সন্তানের মুখ দেখলেন দম্পতি’

ডা. নিকুঞ্জ বিহারীর সাফল্য

এখন সময়: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর , ২০২৫, ১১:১৩:১০ পিএম

বিল্লাল হোসেন : যশোরের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার চিকিৎসাসেবায় আবারও সাফল্য অর্জন করেছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিয়ের ১৭ বছর পর এক দম্পতি যমজ সন্তান লাভ করেছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরে বেসরকারি একটি হসপিটালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান প্রসব করেন বাসন্তি রায়। এতে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন অনেক খুশি হয়েছেন। বাসন্তি রায় নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের সজল কুমার শীলের স্ত্রী।
সজল কুমার শীল জানান, তাদের বিয়ের বয়স ১৭ বছর। অনেক চেষ্টা করেও তারা সন্তান লাভ করতে পারেননি। এজন্য স্বামী-স্ত্রী মিলে ভারত ও বাংলাদেশের বহু ডাক্তারের চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন। অবশেষে তারা যশোরের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক নিকুঞ্জ বিহারী গোলদারের স্মরণাপন্ন হন। তার দীর্ঘ চিকিৎসাসেবায় যমজ সন্তানের মুখ দেখলেন। তাদের পরিবারের লোকজন অনেক খুশি হয়েছেন।
প্রসূতি বাসন্তি রায় জানান, আশায় ছিলেন কবে তিনি ‘মা’ হবেন। দেরিতে হলেও আশা পূরণ হয়েছে। যমজ সন্তান পেয়ে তার কোল ভরে গেছে। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রসব যন্ত্রণা ভুলে গেছেন।
অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার জানান, বাসন্তি রায়ের জরায়ুতে সমস্যা ছিল। সাধারণত তার জরায়ু অনেক বড়। তিনি আন্তরিকতার সাথে রোগীর চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। রোববার সিজারের মাধ্যমে যমজ সন্তান প্রসব করেছেন। অস্ত্রোপচারে দুই ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছে। ওই দম্পতির কোলে যমজ সন্তান তুলে দিতে পেরে তিনি সফল ও গর্বিত।
উল্লেখ্য, এর আগে ডাক্তার নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার তিন প্রসূতির বিকল্প পদ্ধতিতে রক্তপাত ছাড়াই সেন্ট্রাল প্লাসেন্টা প্রিভিয়া অস্ত্রোপচার করে সফলতার রেকর্ড গড়েছেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তিনি প্রথম এমন পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করেন। রোগীর জন্মগত দুটি জরায়ুর একটি ব্লকড জরায়ু অস্ত্রোপচারে সাফল্য অর্জন করে চমক দেখিয়েছেন। এছাড়া গরিব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান ও অপারেশন করে সততার পরিচয় দিচ্ছেন মানবিক এই চিকিৎসক।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)