স্পন্দন ডেস্ক : এক সপ্তাহ আগে ভোটের প্রচারে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় হাদির অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়ো নিউরোসার্জন আব্দুল আহাদ বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের হাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সাঈদ হাসান বলেন, “হাদি আর নাই।” একই সময়ে ইনকিলাব মঞ্চের ফেইসবুক পেইজে এক বার্তায় বলা হয়, “ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।” সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে হাদির মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আবরার, আবু সাঈদদের মতো হাদী না থেকেও আরো বেশি করে থাকবেন বাংলাদেশের বুকে। ইউ ফেইলড টু কিল ওসমান হাদী!” জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদিকে দেখে এসে বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। তিনি বলেন, হাদির অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’। বৃহস্পতিবার বিকালে ইনকিলাব মঞ্চের ফেইসবুক পেইজে বলা হয়, ওসমান হাদি ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ আছেন। সিঙ্গাপুরেই তার অস্ত্রোপচার করতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিন উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকেও হাদির স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে রাতে হাদির মৃত্যুসংবাদ এল।