নিজস্ব প্রতিবেদক: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা বুধবার দুপুরে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় , ১৪ ডিসেম্বর সকালে শহীদ বৃদ্ধিজীবী দিবসে চাঁচড়া বৃদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, অমিত্রাক্ষরে আলোচনা সভা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মোনাজাত ও প্রার্থনা । ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিন ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনি, পুরাতন খুলনা স্ট্যান্ডের বিজয় স্তম্ভে ভোরেই পুষ্পার্ঘ অর্পণ, স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, খেলাধুলার আয়োজন, বিডি হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে আলোচনা ও আপ্যাায়ন, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা, দুপুরে ও সুবিধাজনক সময়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মোনাজাত, দোয়া ও প্রার্থনার, সিভিল সার্জন অফিসের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, সকল সিনেমা, পার্ক, যাদুঘরে বিনামূল্যে প্রবেশ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্য কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, যশোরে শোভাযাত্রা বা বিজয় র্যালি এ বছর নাও হতে পারে। তবে মন্ত্রণালয়ের ৩দিনের মেলা করার অনুমতি রয়েছে তাই যশোর মুন্সি মেহের উল্লাহ ময়দানে বিজয় দিবস উপলক্ষে মেলা করা যেতে পারে। অবশ্য এর আগে যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে। একইভাবে আগামী ৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস পালিত হবে কিনা তা এখনো জানাতে পারেনি । ফলে এখনো যশোর মুক্ত দিবস পালনে রয়ে গেছে ধোঁয়াসা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রফিকুল হাসান, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, এনসিপির সংগঠক নুরুজ্জামান, দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সহসভাপতি নূর ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বেসরকারি অফিস ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।