Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোরের বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের কেজি ১২০

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর , ২০২৫, ০৩:২১:৩৯ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। মজুত কমে যাওয়ার কারণের এই দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আর দাম কিছুটা উঠানামা করলেও এখনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার বেশি দামে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে নিত্যপণ্যের বাজার রয়েছে লাগামহীন। কিছু কিছু পণ্য বাদ দিলে প্রায় সব পণ্যের দাম রয়েছে আকাশচুম্বী।

শুক্রবার যশোর শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারের এই চিত্র।

দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও এখন সবজির দাম আসেনি সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। এখনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন সবজির দাম কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন এখনও সবজির দাম বেশি।

গতকাল বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, দেশি শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স  ৭০-৮০ টাকা, পটোল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা,  দেশি পটোল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৩০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে।

সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গির আলম বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমের দিকেই আছে এখন। শীত প্রায় চলে আসছে; এখন দাম আরও কমে যাবে হয়তো।’

বাজার করতে আসা নাজমুল হক বলেন, দোকানদাররা বলছেন দাম নাকি কমেছে। কিন্তু এখনও তো সবজির দাম বেশি। ছোট একটা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর অন্য সবজিগুলোর দামও বেশিরভাগ ৮০ টাকার ওপরে। শুধু পেঁপে আর মিষ্টিকুমড়ার দামই কম। তো সব কিছু যদি এত দামে বিক্রি হয় সেগুলো কি কম দাম বলা যায়? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে?’

একদিকে সবজির দাম বেশি, অন্যদিকে হুট করেই বেড়ে গিয়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। আজকে ক্রস ও দেশি, দুই ধরনের পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চায়না রসুনের দামও বেড়ে চলেছে নীরবেই।

বাজারে মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩০ টাকা,  দেশি রসুন ৮০-১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০-১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০-২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায় হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। চায়না রসুনের দামও বেড়েছে ২০-৪০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিক্রেতা শংকর মল্লিক বলেন, এখন আসলে পেঁয়াজের সিজন প্রায় শেষ। তারপর যে মজুত থাকে সেগুলোও প্রায় শেষের দিকে। তাই এখন দাম কিছুটা বেশি। নতুন পেঁয়াজ এলে হয়তো দাম কমে যাবে।

এ সময় বাজার করতে আসা বেজপাড়ার রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দামের সঙ্গে এখন পেঁয়াজও যুক্ত হলো। এটা আবার কতদিন চলে, কোন পর্যন্ত দাম ওঠে কে জানে। আমাদের তো ২৫০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ কেনার অভিজ্ঞতা আছে। এখন কত হয় আল্লাহ জানেন!

বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, শীত আসছে বা শীতকালে মুরগির দাম কম থাকে। তবে এখন দাম কিছুটা বাড়তি। তবে কক মুরগির দাম কমেছে।

বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৬৩-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯৩-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০-১১৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ ৯০০-২৯০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০  টাকা, কাচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৯০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য সময়ের মতো আজও মুদি দোকানের পণ্যের দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। কেবল মসুর ডালের দাম কমেছে ১৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম কমেছে ৫ টাকা। এছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

শহরের বড় বাজারের মুদি দোকানী সাহা স্টোরের মালিক আশিষ সাহা জানান, প্রতি কেজি প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০-১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ৯৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)