Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ভারতে চাহিদা বাংলাদেশি পাবদা মাছের

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক কোটি ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯০ কেজি মাছ রপ্তানি

এখন সময়: রবিবার, ১৯ অক্টোবর , ২০২৫, ০৯:৪৯:৪১ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯০ কেজি মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এর রপ্তানি মূল্য ছিল তিন কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৫ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে পাবদা মাছ, যা মোট রপ্তানির ৮৮ শতাংশ। সার্বিক মাছ রপ্তানিতে ইলিশের অংশ ছিল প্রায় চার শতাংশ। এই চার শতাংশ শুধু দুর্গাপূজার উপহার হিসেবে গেছে। তবে এর বিপরীতে দেশটি থেকে কার্প ও সামুদ্রিক মাছের আমদানি কমেছে। ভারতে চাহিদা বাড়ায় পাবদা মাছের রপ্তানি বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ কেজি মাছ, যার মূল্য দুই কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৫ ডলার। সেবারও রপ্তানির বড় অংশ ছিল পাবদা মাছ।

অন্যদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত থেকে মাছ আমদানি হয়েছে এক কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৭০২ কেজি। এর আমদানি মূল্য ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ ডলার। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল প্রায় দ্বিগুণের বেশি মাছ, যা পরিমাণে তিন কোটি ৫৪ লাখ ৬ হাজার ৮৮২ কেজি। ওই মাছের আমদানি মূল্য ছিল এক কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ ডলার। মাছের রপ্তানি বাড়লেও উৎপাদন খরচ নিয়ে মাছচাষিরা চাপের মুখে রয়েছেন।

বেনাপোলের সততা ফিশ কোম্পানির মালিক রেজাউল ইসলাম খোকন। ৪০ একর জলাশয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করেন। এর মধ্যে পাবদা, তেলাপিয়া ও রুই জাতের মাছই বেশি।

তিনি বলেন, ‘মাছের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। মাছের খাদ্য, বিদ্যুৎ ও শ্রমের খরচ বেড়েছে। এখন দুই কেজি আকারের রুই মাছ উৎপাদন করতে কেজিতে খরচ পড়ে ২৭০-২৮০ টাকা। ফলে মুনাফা নেমে এসেছে ১০ শতাংশে, যা আগে ৩০ শতাংশের মতো ছিল। বেশি বিনিয়োগে কম মুনাফা হওয়ায় চিন্তায় আছি।’ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি সরাসরি মাছ রপ্তানি করি। আমার নিজের ঘের থেকে পাবদা মাছই বেশি ভারতে রপ্তানি করি।’

মাছচাষি ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যশোরের ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, শার্শাসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাবদা মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এর কারণ হলো প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই মাছের চাহিদা বাড়ছে। সে কারণে চাষিরা রুই, কাতলা ও পাঙাশের চাষ কিছুটা কমিয়ে পাবদা চাষে ঝুঁকছেন।

ভারতে মাছ রপ্তানিকারক শার্শার বাগআঁচড়ার জনতা ফিশের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস। তিনি সব ধরনের মাছ রপ্তানি করেন। তবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় পাবদা। বছরে শতকোটি টাকার বেশি পাবদা মাছ রপ্তানি করেন।

আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘কেজিতে ১৫-১৬টা হয়, এমন পাবদার চাহিদা বেশি ভারতে। রপ্তানির পাশাপাশি রুই, কাতলা ও সামুদ্রিক মাছ ভারত থেকে আমদানি করি। তবে আগের চেয়ে আমদানি কিছুটা কম।’

রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মৎস্য বিভাগের বেনাপোল স্থলবন্দরের কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ভারতে বাংলাদেশি পাবদা মাছের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এর উৎপাদন বেড়েছে। এর মধ্যে যশোর অঞ্চল মাছ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এমনকী আখাউড়া সীমান্ত দিয়েও ভারতে যায়। মনে হচ্ছে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির চাপ কমেছে।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)