Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মোংলায় জব্দকৃত মাছ নিলামে, ভারতীয় ৩৪ জেলে কারাগারে

এখন সময়: বুধবার, ১৬ জুলাই , ২০২৫, ০৮:৪৯:১০ এম

 

ম.ম.রবি ডাকুয়া, মোংলা: বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে শিকার মাছ ভারতীয় জেলেদের কাছ থেকে জব্দ করে নিলামে বিক্রি করেছে নৌবাহিনীর সহযোগীতায় মোংলা মৎস্য অফিস। ইলিশসহ অন্তত ১০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ শিকার করেন। কিন্তু এসব মাছ আর তাদের নিজ দেশ ভারতে নিতে পারেননি। তার আগেই তারা ধরা পড়েন বাংলাদেশের নৌবাহিনীর হাতে। দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ জন ভারতীয় জেলে সোমবার দিবাগত রাতে আটক হন। তবে আটক জেলেদের মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হলেও জব্দ হওয়া আট হাজার কেজি অবৈধ মাছ নিলামে তুলে বিক্রি করে স্থানীয় মৎস্য অফিস।

সোমবার রাত ১১টা থেকে নিলামের হাঁকা শুরু হয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে রফা হয় নির্ধারিত দামে। ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিলামে সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে মাছগুলো নেয় সাগর ফিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) যোগ হয়ে মোট দাম হয় ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। আর এভাবেই ভারতীয় জেলেদের জালে ধরা অবৈধ মাছ বিক্রি করা হয়।

মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ অনুযায়ী শিকার হওয়া অবৈধ মাছ নিলামে তুলে বিক্রির বিধান রয়েছে। এ কারণে অবৈধভাবে ভারতীয় জেলেদের জালে ধরা ইলিশ, বেলে, রূপচাঁদা, ছুরি, চিংড়িসহ ১০ প্রজাতির আট হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়। বিক্রি হওয়া মাছের ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা মঙ্গলবার সকালে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।’

এর আগে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করা ৩৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌবাহিনী। এ সময় ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গল চণ্ডি-৩৮’ নামে ভারতীয় দুটি মাছ ধরার ট্রলারও জব্দ করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক মাছ ধরার ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করে। এ সময় তারা ওই ট্রলারের দিকে এগোতে থাকলে মাছ ধরার ট্রলারগুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে দুটি ভারতীয় ট্রলারকে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে আটক করেন। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘আটক ৩৪ ভারতীয় জেলের বিরুদ্ধে সমুদ্র আইন (২০২০) ২৫ (এ) বা মেরিন ফিশারিজ ল ধরায় মামলা হয়েছে। মোংলা নৌঘাঁটির পেটি অফিসার রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। আসামিদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)