ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা (৫০) হত্যা মামলায় আটক শাহাবুদ্দিন আহমেদ শিহাব (২৬) কে বৃহস্পতিবার ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। হত্যার সময় সময় ফারুকের কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস আই হারুন আর রশিদ মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে অভয়নগরের দিঘীর বাজার এলাকা থেকে সাকিব হাসানকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে অপ্পো এ ৫৮ মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব হাসান বলেন, নওয়াপাড়া পৌর এলাকার পুরাতন মোবাইল ব্যবসায়ী মিঠু জোয়ার্দ্দার ওরফে নোমানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি মোবাইলটি ক্রয় করেন। পুলিশ সাকিবকে সাথে নিয়ে নোমানের মুখোমুখি করে। নোমান ফুলতলার মধ্যডাঙ্গা গ্রামের উকিল শেখের পুত্র শাহাবুদ্দিন আহমেদ ওরফে শিহাব এর নিকট থেকে মোবাইলটি ক্রয় করে। এদিকে বিষয়টি আঁঁচ করতে পেরে শিহাব এলাকা থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এস আই হারুন সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় নড়াইল সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকার জনৈক খবিরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালত ‘ছ’ অঞ্চলে ফারুক মোল্যার মোবাইল ব্যবহারকারী সাকিব ও নোমানকে হাজির করলে উভয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অপরদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ শিহাবকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিহাবের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ফুলতলা থানা হেফাজতে নিয়েছে। ফারুক মোল্যা হত্যা ঘটনার সাড়ে ৩ মাস পর এই প্রথম কোনো আসামি গ্রেফতার হলো।
প্রসঙ্গত. গত ১৯ মার্চ ফুলতলার মধ্যডাঙ্গা গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ফারুক মোল্যাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত ফারুক মোল্যার স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।