মিরাজুল কবীর টিটো: পবিত্র ঈদুল আযহায় উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুহাট ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ঈদের দিন পশু কোরবানী দিতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে । সেই সাথে চামড়া সংরক্ষণ ও বর্জ্য অপসারণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পশুর চামড়া পাচাররোধে বিজিবি সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার সকালে কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, এবারের ঈদে বাইরের থেকে গরু ছাগল আনার প্রয়োজন হবে না। জেলার খামারীদের কাছে যে পরিমান গরু,ছাগল আছে। তাতে কোরবানীর চাহিদা পূরণ হবে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ পর্যাপ্ত আছে। হাটে খাজনা আদায়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রত্যেক উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য পরিষ্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন ঈদে যারা বাইরের থেকে আসবে। তারা যেন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছাতে পারে, এজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। পরিবহনে যাতে বেশি ভাড়া আদায় না করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। হাট কেন্দ্রিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হবে। একটি প্রতারকচক্র পুলিশের কর্মকর্তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে। এ চক্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক বলেন, ঈদুল আযহায় বর্জ্য-ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রত্যেক উপজেলায় মাইকিং করানো হয়।
বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন এবার ঈদুল আযহায় ৩১ হাজার ৫শ চামড়া হবে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য ৪০৯ মেট্রিকটন লবণ মজুদ আছে। লবণের সংকট দেখা দেয়ার কারণ নেই।
বিজিবির সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কোনভাবে চামড়া পাচার হবে না। বিজিবি সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রসুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।
সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম।