নিজস্ব প্রতিবেদক : সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনাতে নজরুল..। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী স্মরণে উপমহাদেশের বিখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার উপরে উল্লেখিত চারণকে ধারণ করে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মুগ্ধ করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দেশের প্রাচীনতম সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুর বিতান সংগীত একাডেমির এই আয়োজন উপভোগ করেছে মিলনায়তন পূর্ণ দর্শক।
২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম ও ১১ জ্যৈষ্ঠ কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬ তম জয়ন্তী স্মরণে এই অনুষ্ঠানের ডালিতে তাদের লেখা সংগীত, কবিতা থেকে আবৃত্তি এবং ছিল সংগীতের সাথে নৃত্যানুষ্ঠান।
শুভদিন স্মরণে একাডেমির আয়োজনে অভ্যন্তরীন ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে এ সময় বিতরণ করা হয় সনদপত্র।
গতানুগতিক আলোচনা না থাকলেও শুভেচ্ছা জানাতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন সাংস্কৃতিক জন হারুন অর রশিদ, আকরাম হোসেন বাবলা, মাহামুদ হাসান বুলু ও অ্যাডভোকেট প্রশান্ত দেবনাথ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ আনোয়ার এতে সভাপতিত্ব করেন এবং সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসুদেব বিশ্বাস।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে একাডেমির একঝাঁক শিল্পী পরিবেশন করে পরপর দুটি সঙ্গীত এবং অনুষ্ঠানের শেষ পরিবেশন না ছিল সমবেত কন্ঠে সংগীত।
একক, দ্বৈত কন্ঠে সংগীতের পাশাপাশি দলীয় নৃত্যও অনুষ্ঠানের ভালোলাগা মাত্রাকে ছাড়িয়ে যায়।
প্রায় দুই ঘন্টার অনুষ্ঠানে ছিল শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য শিল্পীদের মধ্যে ছিল মীর বাবুল, রানী বসু, উপমা মন্ডল, নিতিন দত্ত, ডা.সুমম, পূজা দেবনাথ, অনুপমা সরকার, মিথিলা রায়, অন্বেষা রায়, এনামুল হক, উর্মি বোস প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের কিবোর্ডে ছিল সজল মল্লিক, প্যাড ড্রামাতে মৃত্যুঞ্জয় পাল, তবলায় রাধেশ্যাম, সুমন, সুদীপ্ত ও রুপম। পারফিউশনে ওয়াহিদুজ্জামান।