কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে কালিগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী মেয়ের মা। এর আগে প্রতিবেশীরা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরাফাত হোসেনকে (১৪) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলায় উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা (২৮) উল্লেখ করেন, একই গ্রামের মিজানুর রহমান গাজীর ছেলে আরাফাত হোসেন সম্পর্কে আমার চাচাতো দেবর। সে সুবাদে আমরা পাশাপাশি বসবাস করি। আমার মেয়ে ২য় শ্রেণির ছাত্রী। আরাফাত হোসেন আমার আট বছর বয়সের মেয়েকে প্রায় আমার বাড়িতে এসে অশ্লীল কথাবার্তা বলাসহ অস্বাভাবিকভাবে গায়ে হাত দেয়। আমি ইতোপূর্বে কয়েকবার নিষেধ করলেও সে শোনেনি। একপর্যায়ে গত ১৬ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাখির বাসা থেকে পাখির বাচ্চা পেড়ে দেয়ার কথা বলে আরাফাত হোসেন আমার মেয়েকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খেজুর বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে বাড়িতে এসে ব্যাথা যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে থাকলে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। রাত ৯টার দিকে অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় আরাফাত হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিলে রাতে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ধর্ষণের অপরাধে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকালে গ্রেফতার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।