নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শিক্ষা বোর্ডের অনলাইন প্রশ্নব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ,স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবেন। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া যাবে না মর্মে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত থাকায় যশোর শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত প্রশ্নব্যাংকের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
২০১৯ সাল থেকে শিক্ষা বোর্ডের অনলাইন ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হয়। শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করে প্রশ্ন ব্যাংকে আপলোড করতেন। আপলোড করা শিক্ষকদের প্রশ্ন যাচাইবাছাই করে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম চলছিল। প্রশ্ন ব্যাংকে পরীক্ষা নেয়া বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০ টাকা করে নেয়া হতো। শিক্ষকদের অভিযোগ প্রশ্ন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতি পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ড কোটি কোটি টাকা আয় করতো। এখন আর সেটা করতে পারবে না যশোর শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএম জহুরুল পারভেজ জানান, প্রশ্ন ব্যাংকের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ায় আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এর মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে শিক্ষা বোর্ড। সেই টাকায় দুর্নীতি করেছে। এখন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেবে। প্রশ্ন তৈরি করতে শিক্ষকদের বই পড়তে হবে। এতে করে শিক্ষকরা মান সম্মত প্রশ্ন তৈরি করতে পারবেন।
নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া শিরিন জানান, শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্য নীতি নির্ধারণ পর্যায় থেকে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সেটা মেনে নেবো। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তৈরি করা প্রশ্নে পরীক্ষা নিলে শিক্ষকদের দক্ষতা আরো বাড়বে।
বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল আনাম আজাদ জানান মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেন বোর্ডে যখন প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি হয়, ওই সময় আমরা ছিলাম না। এখন থেকে স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত থাকায় যশোর শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত প্রশ্নব্যাংকের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।