নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, যারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দ্বারা নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা সকলেই বিএনপি পরিবারের সদস্য। কারণ বিএনপি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিষ্কন্টক এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বিগত ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছে। সেই লড়াইয়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব মেনেই অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়ন মহিলা দল ও যশোর নগর মহিলা দলের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত পৃৃথক দুটি মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও তৃণমূলে মহিলা দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথক দুটি সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড এবং লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধনীতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ পর্যন্ত করেছেন। যে কারণে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় এবং জনগণের বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন। আর ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস জনগণ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছে। অন্যদিকে বিগত ১৭ বছর তরেক রহমান দীর্ঘপথ পরিক্রমায় গণতন্ত্রের জন্য নিজেকে নিবেদিত করে রেখেছেন। যে কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়ার লক্ষ্যে তারেক রহমানকে হত্যার করেছিল। কারণ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা জানতো তারেক রহমান একদিন জনগণের পক্ষে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু জনগণের দোয়ায় আজও তারেক রহমান বেঁচে আছেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে মহিলাদের ত্যাগ অনস্বীকার্য। রাজপথের আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারা শক্তির আধাঁর হিসেবে কাজ করেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া অনুধাবন করেছিলেন, নারীকে ঘরে রেখে দেশের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। সে কারণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া যতবারই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ততবারই নারীকে শিক্ষিত, সাবলম্বী এবং আত্মমর্যাদা প্রদানের জন্য কাজ করেছেন। তারা নারী মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছিলেন।
উপশহর ইউনিয়ন বি-ব্লক বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দলের সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান প্রমুখ। ইউনিয়ন মহিলা দল নেত্রী মিনা বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হাসিনা ইউসুফসহ নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে বারান্দিপাড়া শতদল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর মহিলা দলের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি তর্জিনা বেগম। এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, নগর মহিলা দলের সভাপতি শামসুন্নাহার পান্না, সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আম্বিয়া মঞ্জুর মুক্তা, নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারা পারভিন আনু প্রমুখ।