শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : যশোরের শার্শায় ফসলি জমি থেকে বালি ও মাটি উত্তোলনের অভিযোগে ফোরুক হোসেন (৩৪) নামে ১জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩টি স্থানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় উপজেলার লক্ষনপুর ও নিজামপুর ইউনিয়নের কানাইনগর, হরিনাপোতা, গোড়পাড়া ও নিজামপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন শার্শা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শওকাত মেহেদী সেতু।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন পল্লীতে মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে ভূমি দস্যুরা। স্কেভেটর ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমি বিনষ্ট করে বালি ও মাটি উত্তোলন করে সরবরাহের জন্য এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে এলাকার উর্বর জমিগুলো একদিকে দিনে দিনে শক্তি হারিয়ে পতিত জমিতে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে বালি ও মাটি সরবরাহে পরিবহন হওয়ায় এলাকার রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারিসহ বসতিরা ধূলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে হাফিয়ে উঠেছে। তাতে সাধারণ মানুষের শ্বাসকষ্ট রোগের উপক্রম হওয়ায় যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় এবং সচেতন ব্যক্তিত্বরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিনিয়ত তথ্যচিত্র প্রকাশ করায় টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে দীর্ঘদিন পরে হলেও এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তবে, এখনও অনেক স্থানে বহাল তবিয়তে তাদের এ ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শওকাত মেহেদী সেতু জানান, শার্শা উপজেলায় অবৈধভাবে বালি ও মাটি উত্তোলন রোধে লক্ষণপুর ও নিজামপুর ইউনিয়নের কানাইনগর, হরিনাপোতা, গোড়পাড়া ও নিজামপুরে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি ও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ২টিসহ সর্বমোট ৩টি মামলায় ১লাখ ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অভিযুক্ত ১জনকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম সহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।