ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এদিকে জেলায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে ধান কাটার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানিয়েছে, কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার করে শ্রমিক সংকট নিরসন, সময়ের অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ বাচাতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করা হয় বোরো ধান। রবি ২৪/২৫ মৌসুমের আওতায় গাগান্না ব্লকে ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ব্রি-৯২ জাতের ধান রোপণ করা হয়। সমলয়ের আওতায় ১১৬ জন কৃষক সমলয় পদ্ধতিতে ধান আবাদ করেন। ফলন বেশি হওয়ায় ও শ্রমিক কম লাগায় চাষিরা এ পদ্ধতিতে আবাদে আগ্রহী হচ্ছে।
স্থানীয় একজন কৃষক বলেন, জমি লাগাতে গেলে পাঁচ থেকে ছয় জন মানুষ লাগে। আর মেশিন দিয়ে লাগাতে গেলে তো তা লাগে না। বিঘাপ্রতি হতে লাগানোর চেয়ে এক মণ ধান বেশি হয়। এছাড়াও আগাছা কম হয়, পানি কম লাগে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী বলেন, সমলয় পদ্ধতির মাধ্যমে একই সময়ে একই মাঠে সমজাতের ধান রোপণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে জমিতে সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয় একই মাত্রা ও একই সময়ে। ফলে ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়। এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮ টন। ফলন আশানুরূপ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কৃষকের ভোগান্তি ও খরচ কমেছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে ধান কাটা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, ব্লক সুপারভাইজার মফিজুল ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।