কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুরে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর প্রধান জামালের (৩৮) বাড়িতে ধানের গোলার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হাত বোমার বিস্ফোরণে শাহানা বেগমসহ (৫০) দুইজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহানা বেগমকে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার জানান তার মুখ ও কপাল থেকে ৮টি বোমার স্প্রিন্টার বের করা হয়েছে। এখবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কাছে পরিদর্শন করেছে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবসী সূত্রে জানা গেছে বুধবার সকাল ৮টার দিকে কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল এলাকার গণি শেখের ছেলে, শীর্ষ সন্ত্রাসী জামালের বসত বাড়ির ধানের গোলার মধ্যে, ধান রাখার জন্য তাদের বাড়ির কাজের মহিলা শাহানা বেগম গোলার মধ্যে নামে। এসময় ধানের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ২টি বোমা তার পায়ে লাগে। বোমা দুইটি সে বের করে গোলার বাইরে ফেলে দেয়। এসময় বিকট শব্দে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শাহানা বেগমসহ দুই মহিলা আহত হয়। এরমধ্যে শাহানাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজন প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। এসময় বিকট শব্দে এলাকা বাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অন্য বোমাটি তার পরিবারের সদস্যরা পাশের হরিহর নদিতে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করেনি পুলিশ। জামালের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় ও যশোর আদালতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীসহ ১৫ টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে কেশবপুর পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলামের পোষ্য সন্ত্রাসীদের গডফাদার ও সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান জামাল উদ্দিন ।
জরুরি বিভাগের ডাঃ আখিরুজ্জামান দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, বোমায় আহত শাহানা বেগমের মুখমন্ডল থেকে ৮টি স্প্রিন্টার বের করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, মধ্যকুল গ্রামের জামালের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এসময় বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। জামাল পালিয়ে থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।