অসীম মোদক, মহেশপুর : সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মহেশপুরে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। যার ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে অপ্রাপ্তদের দিয়ে অবৈধ ট্রাক্টর চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার ৪ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পান্তপাড়া, নাটিমা, যাদবপুর, বাঁশবাড়িয়ার গাড়াপোতা গ্রামের মিন্টু, যাদবপুরের আনোয়ার ও পান্তাপাড়ার সুমনের নেতৃত্বে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। এছাড়া প্রায় অর্ধশত এলাকায় অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে।
বাগানমাঠ গ্রামের মন্টু মিয়া জানান, মাটি বোঝাই ট্রাক্টর রাস্তা দিয়ে চলাচলের কারণে রাস্তায় মাটি পড়ছে। এতে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে এবং বৃষ্টি হলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
পান্তাপাড়ার আলমগীর হোসেন জানান, অপ্রাপ্তদের দিয়ে মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টর চালাচ্ছে। যাদের কোন ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেই। ফলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে, সড়কে চলাচল করতে গিয়ে স্কুলগামী শিশুরা আতঙ্কে থাকে।
বাগানমাঠ গ্রামের বাসিন্দা মাটি ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া জানান, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দিনের সাথে কথা বলে মাটি কাটার কাজ শুরু করেছি। মাটি বোঝাই ট্রাক্টর রাস্তায় চললে মাটি পড়াটা স্বাভাবিক।
পান্তাপাড়া গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সুমন জানান, আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলেই মাটি কাটতে এসেছি।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দিনের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ইউনিয়নে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে কি না তা আমার জানা নেই,খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা খাতুন জানান, কোনো এলাকায় মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে এমন কোন তথ্য আপনাদের কাছে থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি সে সকল মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।