চৌগাছা প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলায় থানার ওসিসহ সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ৬ মে সন্ধ্যায় উজেলার মাকাপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত মামলার আসামি ধরতে গেলে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হেসেন, এএসআই মিরাজুল ইসলাম, এএসআই লাভলুর রহমান, কনেস্টবল ভিক্টর ঘোষ, রবিউল ইসলাম, সুলতান আহমেদ, মেহেদী হাসান।
চৌগাছা সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, আহতদের মধ্যে ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এবং এএসআই লাভলুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে মাকাপুর গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে সিয়াম আহমেদ (২৩)। পুলিশের দাবি সিয়াম একটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।
গ্রামের কয়েকজন জানান, পুলিশ মাকাপুর গ্রামের বাজারে পৌঁছে সাধারণ মানুষের উপরে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। তবে পুলিশ আহত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে তাদের দাবি।
পুলিশ বলছে কিছু দুস্কৃতকারী আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে হামলার শিকার হয় তারা।
উল্লেখ্য উপজেলার মাকাপুর গ্রামের হায়দার আলী নামের জনৈক ব্যক্তি ৬ ছেলে-মেয়ে ও এক স্ত্রী রেখে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পরে লন্ডন প্রবাসী ছেলে ব্যারিস্টার মত্তুর্জা রাসেলের সাথে তার মা লতিফা হায়দার ও ভাইবোনদের সাথে জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ হয়। বিরোধের ঘটনায় মা লতিফা হায়দার ও ব্যারিস্টার ছেলে মর্তুজা রাসেল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মলনেও করেন। এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার রাসেল ৩৯ বিঘা জমি লিখে নেওয়ার অভিয়োগে মাসহ পরিবারের সব সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ঘটনায় উপজেলার প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা স্থানীয় আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। সর্বশেষ ২০ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন ব্যারিস্টার মর্ত্তুজা রাসেল। এই মামলার আসামি সাজেদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে গেলে হামলার শিকার হয় পুলিশ।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।