কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও ভালুকঘর বাজার সংলগ্ন রাশেদ স’মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদুল ইসলামকে সরকারি গাছ চুরি করে কেটে নেওয়ার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ শরিফ নেওয়াজ এ জরিমানা করেন।
উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া সড়কের বারইহাটি মধুর মিল নামক স্থান থেকে রাস্তার ধারে সরকারি বাবলা গাছ চুরি করে কেটে তার নিজ স’মিলে বিক্রি করার জন্য এনে রাখা হয়েছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফ নেওয়াজ ভালুকঘর বাজারের পার্শে রাশেদ স” মিলে আসেন। স’মিল মালিকের বিরুদ্ধে সরকারি কাঠ চুরির খবরের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ভালুকঘর গ্রামের জবেদ গাজীর ছেলে রাশেদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ কাঠ জব্দ করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা বাবু, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন উপসহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন উপসহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা টিপু সহ পুলিশ ফোর্স।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, এ ধরনের নেক্কার জনক কাজ যে করেছে তার দায়ভার তাকে নিতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এধরনের কাজকে সমর্থন করে না। তদন্তপূর্বক তার বিষয়টি জেলা বিএনপিকে জানানো হবে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা বাবু দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, ইউনিয়নে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ এ ধরনের অপকর্ম করলে তার দায়ভার তাকে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন বিএনপি কখনো এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।