কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর পৌরসভার ভোগতী নরেন্দ্রপুর ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন নতুন ভবন মালিকের নিকট এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে স্থানীয় এক চাঁদাবাজ চক্র। চাঁদা না দেয়ার কারণে ঘর মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করেছে শহীদসহ তার লোকজন। এঘটনায় ভোগতী নরেন্দ্রপুর ওয়ার্ডের মৃত কছিম গাজীর পুত্র মোকাম গাজী যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে শহীদসহ তার লোকজন তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে তারা তার ছেলে মামুনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হামলা করে। এসময় বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার হাতে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকার শুনে মোকাম গাজী ও তার মেয়ে তাকে ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও কাঁঠের চলা ও হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে জখম করে তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোক এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকে ফেলে রেখে চলে যায় । পরবর্তীতে তারা উপজেলার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করে। মামুনের হাতে ৮টা সেলাই দিতে হয়েছে। এই শহীদের বিরুদ্ধে গত ঈদুল ফিতরের ভিজিএফ’র চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকার শত শত নারী, শিশু ও মহিলারা ঝাঁটা, জুতা নিয়ে মিছিল করে।
এবিষয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, চাঁদাবাজির এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু আমার উপর ব্যক্তিগত আক্রোশে তার লোক দিয়ে এই সমস্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছে।
কেশবপুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদের কাছে অভিযোগ করলে তিনি যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সম্পাদক বরাবর শহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলেন। এ বিষয়ে যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সাবুরুল হক সাবু মুঠোফোনে দৈনিক স্পন্দন বলেন, শহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আমরা দলীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।