অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে অভয়নগরজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। বৃহস্পতিবার রাতে ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
যশোর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রাশেদ খান, মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন ও মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে মেহেদী হাসানকে আহ্বায়ক ও ওয়ালিদা অর্পাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। মুখ্য সংগঠন রাকিব পাটোয়ারী ও মুখপাত্র করা হয়েছে সিয়াম হোসেনকে। তবে সেই কমিটিকে অপ্রত্যাশিত, বিতর্কিত ও পকেট কমিটি বলে আখ্যায়িত করেছেন জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় থাকা অভয়নগরের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন এ কমিটির মূল নেতৃত্বে যাদের নাম এসেছে তারা অধিকাংশ উপজেলার আন্দোলনে মুখ্য ভুমিকায় ছিলনা। ৫ আগস্টের পর উপজেলা প্রশাসনের কাছে নিজেদের সমন্বয় পরিচয় দিয়ে নেতা-নেত্রী বনে গেছেন। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চিহ্নিত কর্মীদের এ কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। আবার যাদের নাম এসেছে কমিটিতে তারা কেউ কেউ এ বিষয়ে অবগত নন। এদিকে একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে যশোর জেলা কমিটির কতিপয় নেতা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে এ কমিটিতে বড় পদে বসিয়েছে। যা নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একাধিক ব্যক্তি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যারা অভয়নগরে আন্দোলনে কোন ভুমিকা রাখেনি তারা কিভাবে নেতৃত্বে এলো?
উপজেলার নতুন কমিটির মুখপাত্র সিয়াম হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়া আহবায়ক সদস্যসচিব হতে পারবে না। তাই এ সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। ১৮ জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনেকে বাদ পড়েছেন।
কমিটির মুখ্য সংগঠক রাকিব পাটোয়ারী এ কমিটি প্রত্যাখান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
যশোর জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়াও জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন ও মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।