আশাশুনি প্রতিনিধি : ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মামলা না করায় প্রাণনাশের হুমকি ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনি গ্রামের আহত মুরশিদ আলমের পক্ষে খুরশিদ আলম।
লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার বড় ভাই খায়রুল আলম সোদকনা গ্রামে বসবাস করে। তার সাথে একই গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মেহের আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমির সীমানায় প্রাচীর নির্মান কাজ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে গত রোববার বিকেল মেহের আলীর নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোকজন প্রাচীর ভাঙচুর করতে থাকে। আমার ভাবি বাঁধা সৃষ্টি করলে তাকে পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে অনেকে উপস্থিত হলে তাদেরও পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এরপর তারা বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তাদের মারপিটে ভ্যানচালক আরাফাত ও মন্টুসহ আমাদের পরিবারের ৯ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় আসিফ ইকবাল, খায়রুল আলম ও আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্য আহতদের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এজাহার তুলে নিতে বলে, না নিলে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে তারা প্রতি রাতে আমার বড় ভাইয়ের বাড়িতে এসে মহিলাদের ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।