Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

কালিয়ায় রফিকুলকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

এখন সময়: শুক্রবার, ৯ মে , ২০২৫, ০৮:৩৯:৩১ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রফিকুল মোল্যাকে (৪০) হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে কাঞ্চনপুর গ্রামে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। এ সময় বক্তব্য দেন, মুস্তাইন বিল্লাহ, ইভা খানম, হানেফ মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আব্দুল গফুর, জামিলা খানমসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, গত ১১ এপ্রিল নড়াইলের কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ফরিদ মোল্যাকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যা করে মিলন মোল্যার লোকজন। এ হত্যাকাণ্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে রফিকুল মোল্যার মরদেহ বাদীপক্ষের রিকাইল শেখের বাড়ির গা ঘেষে ফেলে যায়। এ ঘটনায় রফিকুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আরেক জায়গায় পাওয়া গেছে। রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রিকাইল শেখসহ তার লোকজনকে দোষারূপ করা হচ্ছে।  আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রফিকুল হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত, তা দ্রুত বের করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

এছাড়া ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের অন্তত ৩০ বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ২৫০ মণ ধান লুটপাট এবং ৪০ টি গরু-ছাগল নিয়ে গেছে। নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছে। অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

পুলিশ জানান, কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা এবং আতাউর রহমান আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দুইপক্ষের মধ্যে। এসব ঘটনায় উভয়পক্ষে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ এপ্রিল দুইপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা নিহত হন। নিহত ফরিদ আফতাব মোল্যা পক্ষের সমর্থক। এছাড়ায় উভয়পক্ষে অন্তত ৩০জন আহত হন।

কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রফিকুল মোল্যার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)