নড়াইল পৌর প্রতিনিধি: কালিয়ার ফরিদ মোল্যা হত্যা মামলার আসামি রফিকুল মোল্যার (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের প্রতিপক্ষ রিকাইল শেখের বাড়ির পিছন থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। রফিকুল মোল্যা ওই আজিজুর মোল্যার ছেলে। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়েছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক রিকাইল শেখ ও আফতাব মোল্যার সাথে প্রতিপক্ষ মিলন মোল্লার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে রিকাইল শেখ ও আফতাব মোল্যা পক্ষের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নির্মমভাবে খুন হন। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ নম্বর আসামি ছিলেন রফিকুল মোল্যা।
নিহতের স্ত্রী ওজুফা বেগম জানান, তার স্বামীকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন হত্যা করেছে। অভিযুক্ত রিকাইলের স্ত্রী সালমা খানম জানান, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকিতে গত শনিবার রাতে গোপনে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ গ্রুপের রফিকুলকে তার নিজের দলীয় লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা করে আমাদের বাড়ির পিছনে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে তিনি জোর দাবি জানান। রিকাইলের ভাই নাসির শেখ (৬২) জানান, ফরিদ মোল্যা হত্যা মামলার কাউন্টার মামলা দিতে এবং আমার ভাইয়ের সামাজিক প্রতিপত্তি ক্ষুণ্ন করতে ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ মিলন মোল্লার লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রফিকুলের মরদেহ রিকাইলের বাড়ির পিছনে ফেলে রেখে গেছে। এ ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।