কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর বৈশাখে প্রচণ্ড তাপদহন ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে কৃষকের বোরোধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। একমন ধান বিক্রি করে একটা জনের মূল্য হচ্ছে না। এক মণ চিকন ধানের মূল্য ১৩শ’ টাকা আর একটা জনের মূল্য ১৫শ’ টাকা থেকে ১৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের বাম্পার ফলন ও ন্যায্যমূল্য পাইলেও জনের দাম পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক।
কেশবপুর উপজেলায় বোরোধান মৌসুমে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এবছর বোরোধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হলেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবছর বোরোধান চাষে সার কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয়নি। অনুকূল আবহাওয়ার মাঝে মধ্যে আকাশের বৃষ্টি হয়েছে। কৃষক স্বল্পমূল্যে বোরোধানের আবাদ করে খুব খুশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ কম, ধানের বাম্পার ফলন, নতুন ধানের নেয্য মূল্যও পাচ্ছে কৃষক। এই সুযোগে কৃষক কৃষাণীরা হাতিয়ে নিচ্ছে চাহিদা মতো টাকা। বৈশাখের প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাপশা গরম, তারপরেও মাঝে মধ্যে আকাশে উঁকি দিচ্ছে সাদাকালো মেঘের ভেলা। জনের মূল্য দফায় দফায় বাড়ছে। এর মাঝে খেতের ধান সংগ্রহ করতে কৃষক মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এই সুযোগে কামলা জনেরা হাতিয়ে নিচ্ছে চাহিদা মতো টাকা। উপজেলায় ধানকাটা জনের চাহিদা বেশি হওয়ায় খুলনা জেলার পাইকগাছা কপিলমনি, সাতক্ষীরা জেলার তালা কলারোয়া উপজেলার ধানকাটা জন বিক্রি করতে কেশবপুর আসছে। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কেশবপুর অঞ্চলে বোরো ধানের চাষ আগাম শুরু হওয়ায় ধানকাটা জনের চাহিদা বেশি হওয়ায় সেই সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে কিষাণীরা।
সদর ইউনিয়নের নতুন মূলগ্রামের কৃষক ও স্থানীয় ওয়াডের ইউপি সদস্য সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পযর্ন্ত জোনের দাম ১২০০ টাকা, বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫/৬শ’ টাকা। আর মহিলা জনের সাথে কথা বলা দায় তাদের চাহিদা বেশি।
মূলগ্রামের কৃষক বিশিষ্ট দলিল লেখক মোঃ আব্দুল গনি দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, একমণ ধান বিক্রি করে একটা জনের দাম হচ্ছে না। একমন (৪০ কেজি) ধানের মূল্য বর্তমান বাজার দর ১৩০০ টাকা থেকে ১৩৫০ টাকা। আর একটা জনের মূল্য সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা।
উপজেলার কোমরপোল গ্রামের কৃষক হযরত আলী দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, তার প্রায় ৭ বিঘা জমিতে বোরোধান চাষ হয়েছে। ধান সংগ্রহ মৌসুমে জনের দাম অনেক বেশি একটা জনের মূল্য ১৫/১৬০০ টাকায় দিতে হচ্ছে। সারাদিন একটা জন ৪ কাঠার জমির বেশি ধান সংগ্রহ করতে পারে না। একমন ধান বিক্রি করেও একটা জনের মূল্য হচ্ছে না।