নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণা মামলায় আলোর পথে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক শাহরিয়া সিদ্দিকাকে কারাগারে পাঠিয়েছে যশোরের একটি আদালত। রোববার আসামির স্থায়ী জামিন আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী এ আদেশ দিয়েছেন। আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকা শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রাজ আহমদ (২)।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর উপশহর বি-ব্লকের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে হাসান সমাজ কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও হাসান হস্ত শিল্পের সত্বাধিকারী ফাতেমা জোহরার সাথে ব্যবসায়িক সূত্রে পরিচয় আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকার। এরপর থেকে ব্যবসায়ীক লেনদেনে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যশোরে প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ সংবাদ জানতে পেরে তারা দুই বান্ধবী মিলে একটি আবেদন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুইজনে সমান অর্থ দিয়ে শাহরিয়া সিদ্দিকার নামে একটি আবেদন করেন। লটারিতে ৫ কাঠা জমি বরাদ্দ পেলে তারা দুইজন সমান ভাগে ভাগ করে নিবেন বলে চুক্তি হয়। সুচতুর শাহরিয়া সিদ্দিকা পরবর্তীতে ফাতেমা জোহরাকে জানান লটারিতে তাদের প্লট বাধেনি। ফাতেমা জোহরাকে আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকা টাকা ফেরত দেন। শাহরিয়ার সিদ্দিকার কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় ফাতেমা জোহরা যশোর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে যেয়ে জমি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। ২০২৪ সালের ১৯ জুন তিনি শাহরিয়া সিদ্দিকাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন। লিগ্যাল নোটিশ গ্রহন করে শাহরিয়া সিদ্দিকা কোন জবাব দেননি। এ ঘটনায় ২ জুলাই ফাতেমা জোহরা প্রতারণার অভিযোগে শাহরিয়া সিদ্দিকাকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে ডিবি পুলিশ তদন্ত করে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এ প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক আসামির প্রতি সমন জারি করেন। আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকা আদালতে হাজির হয়ে মিমাংসার শর্তে জামিন নেন। পরবর্তীতে জামিনের শর্ত পূরণ না করে রোববার ধার্য দিনে আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকা আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামি শাহরিয়া সিদ্দিকার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দিয়েছেন।